সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০১৯
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় উদ্দেশ্য মূলক ভাবে সভা বয়কট করেছে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে উপস্থিত ৫টি ইউপির চেয়ারম্যানগণ। এনিয়ে ব্যাপক আাৈচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। উপজেলার সচেতেন মহল বলছেন,সরকারের উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ করতে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় সভা বয়কট করেছে চেয়ারম্যানগণ। তারা এক সাথে সভা শুরুর একঘন্টা পরে যোগ দেয়। এছাড়াও আলোচনার মাধ্যমে সকল সমাধান করার জন্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাদের আহবান জানানোরপরও একঘন্টা পর এক সাথে সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়াই প্রমান করে তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল। তারা জনস্বার্থে নয় নিজ স্বার্থ আর উপজেলা পরিষদ এবং সরকারের উন্নয়নকেই বাধাগ্রস্থ করতে চাইছে।
বুধবার(৩১জুলাই)সকালে তাহিরপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থিত ৭টি ইউপি চেয়ারম্যানগন এডিপি ফান্ডের ৮লক্ষ ৬৩হাজার টাকার সামগ্রী বিতরনে কেন তাদের সম্পৃক্ত করা হল না বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,গত মাসের সমন্বয় সভার সিদ্বান্ত অনুযায়ী এডিপির টাকা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্রেঞ্চ বানানো হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা ৫ইউনিয়নের(বাদাঘাট,তাহিরপুর সদর,উত্তর বড়দল,উত্তর শ্রীপুর ও দক্ষিন বড়দল ইউনিয়ন)বেশী ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। আমি নিজে,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধানগন,সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত থেকে সেগুলো বিতরণ করেছি। অনিয়ম হয়ে থাকলে বলেন। এরপরেই চেয়ারম্যানদের কেন সম্পৃক্ত করা হয় নি একারনেই এডিপি ফান্ডের সদস্য সচিব তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানগন অনাস্থা জানিয়ে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বয়কট করেন উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
এসময় সবাইকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বুজানোর চেষ্টা করার পরও চেয়ারম্যানগণ সমন্বয় সভা বয়কট করে বেরিয়ে যায়। পরে দুপুরের আবারও সভা করলেও তারা আসেন নি।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইদুল্লাহ মিয়া বলেন,বন্যার সময় ঠিকাদারের মাধ্যমে ব্রেঞ্চ গুলো তৈরী করে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঠিক ভাবেই বন্টন করা হয়েছে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন,আমার ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে বিভিন্ন আসবাব পত্র দেয়া হয়,অথচ আমাকে জানানো হয় নি। তাই এর কারনেই মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা বয়কট করি।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসিফ ইমতিয়াজ বলেন,এডিপি ফান্ডের টাকা দিয়ে সামগ্রী বিতরন বা ক্রয়ে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে চেয়ারম্যানরা চাইলে বিষয়টি তর্দন্ত করা হবে। এডিপি ফান্ডের সদস্য সচিব তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানগন অনাস্থা ও অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,গত মাসের সমন্বয় সভার সিদ্বান্ত অনুযায়ী সব কিছু জানিয়েই আমরা করা হয়েছে। কোন কিছুই জানাই নি তা মিথ্যে। দূনীর্তি হয়ে থাকলে তারা বলতে পারত। তারা সে কথা না বলে সরকারের উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ করতেই এক যোগে ৫জন চেয়ারম্যান সভা থেকে বেরিয়ে গেছেন। আমি আশা করি চেয়ারম্যানগন নিজ ইউনিয়ন,দেশ ও জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে আগামী সভায় যোগ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবার পাশে থেকে কাজ করবেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd