সিলেট ২৭শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৯
শুধু নামেই নয়, সুন্দর চেহারার অধিকারীও পরি বেগম (২৮)। আর এই সুন্দর মুখের চাহনী দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে কখনো পুরুষ, কখনো গ্রামের অবলা দরিদ্র অসহায় নারী ও কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে নিজের ইচ্ছা মাফিক অর্থ আদায় করাই হলো এই পরীর কাজ।আর উঠতি বয়সের যুবক, চাকুরীজীবি, জনপ্রতিনিধি,রাজনীতিবিদ সহ সবাইকে ফেইজবুকে চ্যাটিং বা মোবাইল ফোনে কথা বলে ট্রাপে ফেলেও প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে ফোনে কথা বলে রুমমেট করার ফাঁদে ফেলে শিকার ধরতো ওই সুন্দরী পরী। তার মন ভোলানো কথায় বহু মানুষ পা দিতেন ভয়াবহ ফাঁদে। কিন্তু এ ফাঁদ যে কত ভয়ংকর তা যখন টের পেতো তখন কিছুই করার আর থাকতো না। তার ওইসব অপকর্মকে সেল্টার দেওয়ার জন্য রয়েছে রামগঞ্জে অঘোষিত একটি সিন্ডিকেট । যার ফলশ্রুতি ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এটা কোন কাল্পনিক কোন জ্বীন-পরীর গল্প না এটা হচ্ছে লক্ষীপুরের রামগঞ্জের এক প্রতারক পরি বেগমের কথা বলছি। বেশ কয়েক মাস থেকে সে বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের এলাকা থেকে ওই পরি বেগমের নানান প্রতারনার খবর এখন টক অব দ্যা রামগঞ্জে পরিনত হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, পরি বেগম রামগঞ্জ পৌরসভার নন্দনপুর গ্রামের ইম্মত আলী ভূইয়া বাড়ির আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। স্বামী রাজ মেস্তুরী আলমগীর বেশ কয়েকবার স্ত্রীর বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেও দফায় দফায় হেনস্তা হয়েছেন। এর বাহিরেও পরী বেগম সম্প্রতি রামগঞ্জ পৌরসভার সাতারপাড়া গ্রামের মিয়া বাড়ির জেসমিন আক্তার কাছ থেকে ৩ হাজার, সুফিয়া বেগমের কাছ থেকে ৮হাজার, একই গ্রামের মিয়ার বাড়ির সোহাগী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার, নাসরিন আক্তারের কাছ থেকে ৩০ হাজার,সুমা আক্তার ৭হাজার, আকলিমা আক্তার ৭হাজার, বাচ্চু মিয়ার কাছ থেকে ৬ হাজার সহ পাশ্ববর্তী আবদুল করিম বেপারীবাড়ির,জয়নাল আবেদিন বেপারী বাড়ির সহ অসংখ্য নারী-পুরুষের কাছ থেকে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধীভাতা,মাতৃত্বভাতা ও নতুন ঘর করে দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই প্রতারক পরী বেগম।
অভিযুক্ত পরি বেগম মোবাইল ফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। আমাকে নিয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো কিছু সমাধান হয়েছে। বাকীগুলো সমাধানের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাই এগুলো নিয়ে লেখালেখির কোন দরকার নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিফাত আরা সুমি জানান, পরি বেগম নামের কোন মহিলাকে আমরা চিনি না যদি আমাদের অফিসের নাম বিক্রি করে কোন অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। তবে পরি বেগমের প্রতারনার বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কেউ অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd