সিলেট ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৯
সিলেট শহরতলীর এয়ারপোর্ট থানার ছালিয়া কাটু কুড়ি গ্রামের গৃহবধু ছালমা বেগম খুনের ঘটনায় তার স্বামী, দেবর, শাশুড়ি সহ ৫ জনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গত ২৩ জুন রোববার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (নারী শিশু ৪৪/২০১৯ নং মামলায়) সিলেট সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম রব্বানী মজুমদার’র তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক এই আদেশ প্রদান করেন।
নিহতের বড় ভাই মোঃ খোয়াজ আলী জানান- গত ৩১ আগষ্ট ২০১৮ইং তারিখে এয়ারপোর্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ এনে জি আর ১৪৮/২০১৮ নং মামলা দায়ের করেন-যাহা পরবর্তীতে নারী শিশু ৪৪/২০১৯ নং মামলা হিসাবে নাম্বার ভূক্ত হয়। মামলার এজাহার ও নিহতের ভাই খোয়াজ আলীর কাছ থেকে জানা যায়-প্রায় ৮/৯ বছর আগে সিলেট গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দির গাঁও গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের মেয়ে সালমা বেগম’র সহিত সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ছালিয়া কাটুকুড়ি গ্রামের মৃত কাদির মিয়া উরফে মখার ছেলে শানুর আহমদের সহিত বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে শানুর মিয়া প্রায়ই সালমা বেগমকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। কিন্তু সালমা বেগমের পিতা জীবিত না থাকায় এবং তার ভাইদের সংসার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় স্বামীর আবদার মিটাইতে অক্ষম ছিলেন। এ কারণে স্বামী, দেবর, সহ অন্যরা মিলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd