সিলেট ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯
সিলেটের জৈন্তাপুরে নববধু আত্মহত্যা নিয়ে চাঞ্জল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবী ইফতারি নিয়ে শাশুড়ী-বউয়ের ঝগড়া চলে। দুপরে শুনেন ফাঁস দিয়ে নব বধুর আত্মহত্যা। শনিবার (১১ মে) দুপুর ২টায় জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ঘিলাতৈল গ্রামের শামীম আহমদ এর স্ত্রী হেলেনা বেগম(২০) ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এলাকাবাসী জানান- সকাল হতে শামীম আহমদের মা তহেরা বেগম সকাল থেকে নববধু হেলেনার সাথে ইফতারি নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া করতে শুনেছেন। এক পর্যায় তারা শুনতে পান তাহেরা বেগম চিৎকার করতেছে। এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে দেখেন নববধু ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশকে সংবাদ না দিয়ে নববধুর লাশ মাটিতে নামিয়ে ঘরের বারান্ধায় রাখা হয়। বেশির ভাগ গ্রামবাসী জানান- ইফতারির কারনে শাশুড়ির নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে নববধু হেলেনা আত্মহত্যা করেছে তার কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হেলেনা উপজেলা ২নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের হোসেন মিয়ার মেয়ে।
শামীম আহমদ প্রতিবেদককে বলেন- আমি প্রতিদিনের মত আলু বাগান টিএসকো পাওয়ার লিঃ কোম্পানীতে কাজে যাই। যাওয়ার সময় হেলেনা কে হাসি মুখে রেখে যাই। তার সাথে আমার বিয়ের কেবল ৪মাস হয়েছে আমি সুখেই ছিলাম। কি কারনে এঘটনা ঘটেছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। মায়ের সাথে ঝগড়ার বিষয় আমি কিছুই জানি না। আমি সংবাদ পেয়ে এসে দেখি হেলেনাকে বারিন্ধায় শুয়ে রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মাইনুল জাকির বলেন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘাটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল তৈরী করে অধিকত্বর তদন্তের জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের ব্যবস্থা গ্রহন করছে।নববধুর নিকট আত্মীয়রা অভিযোগ দিয়ে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে, হেলেনার পিতার দাবি তার মেকে ইফতারির জন্য মেয়ের শশুর বাড়ির লোজন তাকে হত্যা করেছে বলে তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে এমন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন মেয়ের স্বামী শামীম আহমদের মা তহেরা বেগম শনিবার সকাল থেকে হেলেনার সাথে ইফতারি নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া করেন। পরে এলাকার লোকজন এক পর্যায় তারা শুনতে পান তাহেরা বেগম চিৎকার করতেছে। এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে দেখেন নববধু ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd