সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০১৯
ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলার লালমোহনে প্রায় ছয় মাস ধরে অবস্থান করছেন আমিন ও মুন্নি নামে দুই রোহিঙ্গা ভাইবোন। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের চর-কচুয়াখালীতে তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে শুক্রবার(২২মার্চ) দুপুরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
রোহিঙ্গা যুবক আমিন বলেন, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের পর তারা কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থান নেন। পরে সেখানে লালমোহনের নাছির নামে এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়। নাছির তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয় তার বড় ভাই বশিরের সঙ্গে। বশির ওই দুজনকে কাজ দেয়ার কথা বলে লালমোহনের বিচ্ছিন্ন চর কচুয়াখালীতে নিয়ে আসেন।
আমিন বলেন, আমি আর আমার বোন এখানে প্রায় ছয় মাস ধরে অবস্থান করছি। এ চরে তরমুজ ক্ষেতে কাজ করছি। তবে বশির নামে ওই লোক আমার কাজ করার বিনিময়ে কোনো টাকা দেননি। আর আমার সঙ্গে আমার বোনকে না রেখে অন্য এক জায়গায় রাখেন তিনি। এ সময় আমার বোনের ওপর নির্যাতন করেন বশির। এ ঘটনায় আমার বোন কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে আমি তাকে বুঝিয়ে রাখি।
তিনি বলেন, চরে আমাদের অবস্থানে খবর পেয়ে চরের সভাপতি শাহে আলমসহ কয়েকজন মিলে আমাদের তাদের কাছে নিয়ে যায়। পরে সেখানে বশিরকে ধরে নিয়ে বিচার করেন। বিচারে বশিরের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে চরের ওই সভাপতি আমার টাকা দিচ্ছেন না। তিনি নাকি সে টাকা জমি লগ্নির ওপর লাগিয়েছেন। তবে এখন টাকা পাই আর না পাই আমি বোনের ইজ্জতসহ এখান থেকে ফিরে যেতে চাই।
এ ব্যাপারে চরের সভাপতি শাহে আলম বলেন, বশিরকে এনে আমরা বিচারের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। সে টাকা আমাদের কাছে রয়েছে।
টাকা নাকি জমি লগ্নির ওপর লাগিয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি শাহে আলম।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর খায়রুল কবীর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম চরে পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd