সিলেট ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৩ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক : আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ডিআইজি মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত পিস্তলের জন্য ৪০ রাউন্ড গুলি কেনার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন মাগুরার জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ৩২ বোরের পিস্তলের জন্য ৪০ রাউন্ড গুলি কেনার অনুমতি চেয়ে গত ২৮ মে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন। জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ও সার্বিক বিবেচনায় তার আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিআইজি মিজানের আবেদনপত্র লেখাও সঠিক হয়নি। কারণ তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পরিবর্তে আবেদনে জেলা প্রশাসক লিখেছেন।জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২৮ মে স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রটি তিনি ওই দিন ঢাকা থেকে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে দিয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছান। এতে তিনি লেখেন, ২০১১ সালে মাগুরায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় পিস্তলটি কিনেছিলেন। এর লাইসেন্স নম্বর ০৬/মাগুরা/১৯৯৮। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পিস্তলটির নম্বর ডিএএ-৪৯৪৩৮১। এটি কেনার সময় ৩২ বোরের ১০ রাউন্ড গুলিও কেনেন তিনি। আবেদনে ডিআইজি মিজান বলেন, এখন তিনি আরও ৪০ রাউন্ড গুলি কিনতে চান। এ জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রয়োজন।
সূত্র আরও জানায়, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মাগুরা জেলা প্রশাসন থেকে পিস্তলটির লাইসেন্স নবায়ন করিয়েছেন ডিআইজি মিজান। চলতি বছর অন্য জেলা থেকে নবায়ন করলেও সে তথ্য এখনো মাগুরায় আসেনি। ওই সূত্র আরও জানায়, আগে না থাকলেও এখন গুলির হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তিনি আগের কেনা ১০ রাউন্ড গুলির কোনো হিসাব দেননি। এ ব্যাপারে ডিআইজি মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানার জন্য আবেদনে উল্লেখ ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।এক নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে ও এক সংবাদ পাঠিকাকে হয়রানির অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত রাখা হয়েছে। তার মতো একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd