সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথ বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি দ্বিতীয় পর্যায়ে বাসিয়া নদী পুনঃখনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্টান কোনো প্রকার নিয়মনীতি না মেনে নিজের ইচ্ছায় চালিয়ে যাচ্ছেন লোক দেখানো ঘাস ছাটাই। অথচ নদী খনন কাজের সীমানা নির্ধারণ না করেইে কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি খনন কাজের বাহানায় নদী পারের বিশাল বিশাল বিভিন্ন জাতের গাছ হরিলুট করা হয়েছে। এতে সরকার লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ডের অর্থায়নে বিশ্বনাথ এলাকায় ৭কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ‘বাসিয়া নদী পুনঃখনন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। সেই কাজটি ১কোটি ৮০লাখ টাকায় ৭কিলোমিটার তিন খন্ডে পেয়েছে মেসার্স সামছুর রহমান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান। এনিয় গত বছর সীমানা নির্ধারণ কাজও সমাপ্ত করা হয়েছে। সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস নদীর উত্তর তীর হতে দক্ষিণ তীরে ফিতা দিয়ে মেপে ৩৩মিটার (১শত ৯ফুট) সীমানা নির্ধারণ করেন। গতবছর সীমানা নির্ধারণের পর অনেক গড়িমশির পর সময় নষ্ট করে কালিগঞ্জবাজার এলাকা থেকে নদী খনন কাজ শুরু করা হয়। কিছুদিন পর বৃষ্টির পানি নদীতে আসায় খনন কাজটি বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান। ওই কাজের মেয়াদ ২০১৭সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হলে মেয়াদ বাড়ানোর জন্যে ঢাকায় আবেদন করা হয় এবং মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শুরুর নির্দেশনা পেলে কাজ শুরু করা হয় বলে সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান। কিন্তু চলতি বছরে মটুকোনা নামক স্থান থেকে খালপাড় পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ে আবারও খনন কাজটি শুরু করা হয়েছে। কিন্তু এই খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম আর দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মেশিন দিয়ে খনন কাজের নামে চলছে লোক দেখানো নদী চরের ঘাস ছাটাই কাজ। তবে খনন কাজটি সঠিকভাবে চলছে বলে দাবি করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের সত্ত্বাধিকারি মুসলিম মোল্লা।
এদিকে, খনন কাজের বাহানায় নদী পাড়ে থাকা বিভিন্ন জাতের প্রায় আড়াইশতটি বিশাল বিশাল গাছ কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয় লোকজন। এতে সরকার হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গাছগুলো পরিদর্শন করে এসেছেন বলে জানান দশঘর ভূমি অফিসের তফশীলদার। তিনি সেই স্থান থেকে ফেরার পর পরই গাছগুলো কাটা নেন স্থানীয় লোকজন। ইতিমধ্যে নদীর পাড়ের প্রায় ৮০% গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।
বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খাল বলেন, গত বছর গড়িমসি করে খনন কাজ শুরু করায় নদীতে পানি এসে যায়। এবছরে আবার শুকনো মৌসুমের শেষ বেলায় এসে কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্বনাথ উপজেলা সদর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নদী খনন কাজ যদি সম্পন্ন করা হয় তাহলে এই খনন করা অর্থহীন হবে এবং সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হবে, তাতে জনগণ কোন উপকার পাবেন না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd