সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে বর্তমান সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এর পথচিত্র অনুসরণ করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন যুদ্ধে জয়লাভের জন্য কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে কৃষির ভূমিকা আজও মুখ্য। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরিতা মোকাবেলা করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ধান, গম, ভুট্টা, সবজি, মাছ মাংস ডিম ও দুধ উৎপাদনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলেছে। এটি সম্ভব হয়েছে সরকারের বাস্তবমুখী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে আজকের এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সমাবর্তন একটি প্রতীকী অনুষ্ঠান। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক সাধনা ও সিদ্ধির সাথে সমাজের আশা-আকাঙ্খার মেলবন্ধন ঘটে থাকে।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তার যে স্ফূরণ ঘটেছিল, তা দু’দশক ধরে নানা আন্দোলন-সংগ্রাম, চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাস্তব রূপ লাভ করে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই দীর্ঘ ও ব্যাপক কর্মযজ্ঞের পৌরোহিত্যে ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর প্রাজ্ঞ ও দুরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ও বিকাশকে অবারিত করে।’
রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু এবং ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘কৃষিখাতে আজ যে অভাবনীয় সাফল্য দৃশ্যমান, এর পেছনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন আমাদের কৃষিবিদগণ। নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা পরিবেশ উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ সব পর্যায়ে তা দ্রুত হস্তান্তর ও বিস্তারেও ভূমিকা রাখছেন। কৃষিতে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কৃষকপর্যায়ে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ ও বহুমুখীকরণেও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী করতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘বর্তমান যুগ হচ্ছে বিশ্বায়ন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির যুগ। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই বিশ্ব ব্যবস্থায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তার আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে টিকে থাকতে হলে তার স্থানিক, জাতিক ও বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এটি সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক উপযোগিতা, মান ও আন্তর্জাতিক চারিত্র্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে। আমি জেনে আনন্দিত, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে শিক্ষা ও গবেষণা তৎপরতায় এই চাহিদাগুলোর বিশ্বস্ত প্রতিফলনে বিশেষ যত্নবান। এখানকার শিক্ষা কারিকুলাম নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd