পকেটে প্রশ্ন নিয়ে বাইরে শিক্ষক

প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮


Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের বাইরে কেন্দ্র সহকারী সচিবের কাছে প্রশ্নপত্র পাওয়ায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম আমজাদ হোসেন। তিনি উপজেলার আলহাজ ধনাই বেপারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএসসি পরীক্ষার মাওনা কেন্দ্রের সহকারী সচিব।
কেন্দ্রের সচিব শাহজাহান সিরাজ বলেন, প্রশ্নসহ শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তাকে পরীক্ষাসংশিস্নষ্ট সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

Manual5 Ad Code

কেন্দ্রসংশিস্নষ্ট সূত্র, দায়িত্বরত পুলিশ ও কেন্দ্রসচিবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টা থেকে গণিত পরীক্ষা চলছিল। আধা ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা প্রায় শেষ, এমন সময় আমজাদ হোসেন নাহিন শিক্ষার্থীদের দেয়ার জন্য সংরক্ষিত লিখিত প্রশ্নপত্রের বান্ডিল থেকে একটি প্রশ্ন সরিয়ে নিজের পকেটে রাখেন। এ সময় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা শ্রীপুর পুলিশের শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক নয়ন ভূঁইয়া ঘটনাটি দেখে ফেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কেন্দ্র সহকারী সচিব প্রশ্নপত্রসহ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার জন্য পিয়ার আলী কলেজ ভেনু্যর মূল ফটকের বাইরে যেতে চাইলে পুলিশের ওই কর্মকর্তাও তাকে অনুসরণ করতে থাকেন। ফটকের বাইরে গিয়ে প্রশ্নপত্রটি অন্য কাউকে হস্ত্মান্ত্মরের চেষ্টা করছিলেন তিনি। এ সময় শিক্ষককে প্রশ্নসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষক তার কাছে প্রশ্নপত্র থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে নির্দিষ্ট কক্ষে গিয়ে ওই কক্ষে সংরক্ষিত প্রশ্নপত্রগুলো গণনা করে একটি প্রশ্নপত্র কম পাওয়া যায়। পুলিশ ওই শিক্ষকের পকেট থেকে প্রশ্নটি উদ্ধার করেন। বিষয়টি কেন্দ্রসচিব শাহজাহান সিরাজকে জানান। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে ওই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা পাট কর্মকর্তা আশারফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্রসহ শিক্ষক আটক হয়েছেন।
শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) বলেন, ‘প্রশ্ন পকেটে রাখার ঘটনাটি দেখে তাকে ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই শিক্ষক প্রশ্নপত্র নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে যাচ্ছিলেন। আমি তার পিছু নিই। ফটকের বাইরে গিয়ে তিনি প্রশ্নটি অজ্ঞাতনামা কাউকে দেয়ার প্রস্ত্মুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় আমি তাকে ধরে ফেলি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত্মের স্বার্থে পরীক্ষাসংশিস্নষ্ট সব দায়িত্ব থেকে ওই শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728  

সর্বশেষ খবর

………………………..