নগরীতে পৌষের পিঠার উৎসব

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০১৮


Manual8 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালিয়ানা আর পিঠা যেনো একই সূত্রে গাঁথা। শীত মৌসুমে এ দেশের আনাচে কানাচে তৈরি হয় বাহারি স্বাদের পিঠা। কালের বিবর্তনে বাংলাদেশের চিরায়ত গ্রামীণ ঐতিহ্যের সাথে এসে যোগ দিয়েছে এখন হালের আধুনিকতা। দেশের শহুরে জনপদ কিংবা নগরগুলোতে গ্রাম বাংলার শত বছরের ঐতিহ্যের স্মৃতিবাহি এসব পিঠা নিয়ে এখন করা হয় মেলা কিংবা উৎসবের। বাহারী স্বাদের আর বাহারী রকমের পিঠা নিয়ে এমনই এক দিনব্যাপী উৎসব হয়ে গেলো সিলেট নগরীতে। নগরীর রিকাবীবাজারস্থ পুলিশ লাইন স্কুল মাঠে শুক্রবার সকালে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুধীজনরা।

Manual1 Ad Code

কুয়াশায় ঢাকা সকালে কিংবা সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসে মুখরোচক পিঠার স্বাদ নেওয়া ভোজন বিলাসী বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এই পৌষের হিম হিম ঠান্ডায় সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রিকাবীবাজরস্থ পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩য় বারের মতো এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

Manual1 Ad Code

শুক্রবার সকালে সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় সভাপতিত্বে ও জান্নাতুল নাজনীন আশার সঞ্চালনায় সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

Manual4 Ad Code

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর কার্যনির্বাহী সদস্য মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ওয়েছ খছরু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধরণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেলসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

এই পিঠা উৎসব জুড়ে বিভিন্ন স্টলে স্থান পেয়েছে বাহারি পিঠার বিশাল আয়োজন। পিঠাপ্রেমীদের উদরপূর্তীতে বিভিন্ন ধরনের দেশি ঐতিহ্যবাহী পিঠার সুবিশাল আয়োজন ছিলো এই পিঠা উৎসবে। অতিথিরা এই আয়োজন উপভোগ করেন শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।

পিঠা উৎসবে দেশীয় পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন রেসিপি’র সংমিশ্রণে পিঠার নতুন নতুন সংস্করণও পরিবেশন করা হয়।
পিঠা উৎসবে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবে যোগ দেন জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, একুশে পদক প্রাপ্ত সুষমা স্বরাজ, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ।

পিঠা উৎসবে অংশ নেয়া স্টলগুলোর মধ্যে সেরা পিঠা ঘর হিসেবে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন ইয়াসমিন পিঠা ঘর, ২য় পুরস্কার গ্রহণ মিঠাইবাড়ি পিঠা ঘর এবং ৩য় পুরস্কার গ্রহণ করেন ত্রিময়ী পিঠা ঘর। এতে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজস্ব পরিবেশনার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ নেয়।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..