সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে শ্যালক আল আমিনকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার আপন দুলাভাই ফয়সল আহমদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার ওসি গৌছুল হোসেন জানান, সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়সল আহমদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী আয়েশার সাথে মনোমালিন্য ছিল ফয়সল আহমদের। গত কিছুদিন ধরে আয়েশা বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফয়সল ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে, জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত ফয়সল আহমদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নগরীর একটি মাদরাসার ছাত্র আল আমিনকে (১৬) অপহরণ করে শহরতলির খাদিম চা বাগানে নিয়ে হত্যা করেন ফয়সল আহমদ (২৭)। আল আমিন নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকরপাড়ার ৩নং বাসার নুরুল ইসলাম টুটুলের ছেলে। কাল রবিবার বিকেলে পুলিশ আল আমিনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিলেটের মোগলাবাজার থানার সিলাম টিকরপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফয়সলকে।
আল আমিন হত্যা মামলার এজাহারে নুরুল ইসলাম টুটুল উল্লেখ করেছেন, ফয়সল আহমদ তার (টুটুল) মেয়ে আয়েশা আক্তারের স্বামী। ফয়সল ‘খুবই বাজে স্বভাবের লোক’। আয়েশাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন ফয়সল। গত ২০-২৫ দিন ধরে আয়েশা বাবার বাড়িতে থাকায় ফয়সল তার (টুটুল) ছেলেমেয়েদের ‘হত্যা ও অপহরণের হুমকি’ দিচ্ছিলেন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে টুটুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আল আমিনকে ‘অপহরণ করেন’ ফয়সল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd