সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
গত সোমবার ৪ ডিসেম্বর সিলেট প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা বিজিত চৌধুরী। ‘সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নগরীর টিলাগড়স্থ গোপালটিলার বাসিন্দা নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন নিজের ব্যবসায়ীক অংশীদার হিসেবে বিজিত চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন কাল্পনিক তথ্য পরিবেশন করে। এরই অংশ হিসেবে নগেন্দ্র বর্মন বিভিন্ন সময়ে বিজিত চৌধুরীর নিকট সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেন।’
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে বিজিত চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি একই অভিযোগ তুলে নগেন্দ্র বর্মন সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা (নং-১৫৭২) এবং তার স্ত্রী রাঙ্গা সিনহা বাদী হয়ে একই আদালতে সিআর মামলা (নং-১৫৭৩) দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআই কে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
কিন্তু তদন্তাধীন একটি মামলার কার্যক্রম থাকা অবস্থায় আবারো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা প্রকারান্তরে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত চরিত্র হননের শামিল বলে বিজিত চৌধুরী উল্লেখ করেন। তাছাড়া, এ ঘটনা চলমান মামলার তদন্ত কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রভাবিত করারও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
বিবৃতিতে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী বলেন, রাজনীতির পাশাপাশি আমি একজন ব্যবসায়ী। নগরীর বন্দরবাজারস্থ অত্যাধুনিক মার্কেট রং মহল টাওয়ার এর একজন পরিচালক। আমি মিডিয়া অঙ্গণেরও একজন পরিচিত লোক। আমার সম্পাদিত একটি অনলাইন “প্রথম বেলা২৪.কম” দীর্ঘদিন থেকে সিলেটে সুনামের সাথে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। তাছাড়া, সিলেটের ভিন্নধারার স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্র “দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি যুক্ত রয়েছি মদনমোহন কলেজ এন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ণিং বডির সদস্য, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরি কমিটির সদস্য, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি ও সিন্ডিকেট সদস্য, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কার্যকরি কমিটির সদস্য, বেসরকারি কারা পরিদর্শক, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সিলেট সংস্কৃতি কলেজের পরিচালনা পরিষদ সদস্য, তাছাড়া অনেক বেসরকারি প্রতিষ্টানের পরিচালনা পরিষদের সাথেও যুক্ত রয়েছি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে অনেক অর্জনের পর সম্প্রতি একটি চক্র তাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে এক/একাধিক ব্যক্তিকে জড়িয়ে সুনামহানির ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে একসময়ে বন্ধুর দোকানে নামমাত্র বেতনে চাকরী করা নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন ও তার স্ত্রী রাঙ্গা সিং কে দিয়ে কৌশলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন ও তার স্ত্রী রাঙ্গা সিং কে ব্যবসায়িক ভাবে প্রতিষ্টিত করতে তাঁর সহযোগীতার হাত বরাবরই প্রসারিত ছিলো। তাছাড়া, এই নগেন্দ্র বর্মনের বিভিন্ন ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যাংক থেকে উত্তোলননকৃত ঋণের টাকারও তিনি ছিলেন জামিনদার।
কিন্তু বর্তমানে একটি দুষ্টু চক্র এই দম্পত্তিকে ব্যবহারের মাধ্যমে একের পর এক বিভিন্ন মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে যাচ্ছে। তাদের এই অব্যাহত অপতৎপরতায় তিনি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছেন। এবং চলমান এই ভীতিকর পরিস্থিতিকে তিনি রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও জীবন জীবীকার উপর হুমকি স্বরূপ বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। দেশপ্রেম, দেশ ও দেশের প্রতি নাগরিক দায়বদ্ধতা সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমার অব্যাহত পথচলা কোনও ষড়যন্ত্রই দাবিয়ে রাখতে পারবেনা। তিনি বিশ্বাস করেন- অচিরেই সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির নিস্পত্তি ঘটবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd