সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
মিয়ানমারের মংডু ফকিরাবাজার এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও মংডু শহর স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা দিল মোহাম্মদ (৫৫) বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সই’য়ের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ প্রতিবেদককে বলেন, কোনো দিন চিন্তা করিনি নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে আসতে হবে। যেহেতু সেখানকার রাখাইন সম্প্রদায় ও আইনশৃংখলাবাহিনীর সাথে আমাদের সখ্যতা ছিল ভালো।
কিন্তু হঠাৎ তাদের মূখ ফেরানোর কারণে দেশ চলে আসতে হয়েছে। ৬টি স্বর্ণের দোকান, ২০একর ধানী জমিসহ মূল্যবান সম্পদ ছিল। যাহা বাংলাদেশী প্রায় ১০কোটি টাকা। মুহুর্তের মধ্যে তচনচ করে দিয়েছে বর্মি বাহিনী। তবুও আজকের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার খবরে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে অধির আগ্রহে দিন গুনছি।
একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পার্শবর্তী ঝুপড়িতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু বলীবাজার এলাকার বাসিন্দা মাহামুদুর রহমান (৩৫)। তিনি বলেন, রাতের বেলায় ঘুমাতে গেলে কান্নায় বুক ভেসে যায়। একটি মাত্র অনুভূতি জীবনের শেষ বেলায় কি একবার মিয়ানমারে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি হবে? তিনি বাংলাদেশের সরকারের প্রশংসা করে আরো বলেন বাংলাদেশ সরকার যদি তাদেরকে আশ্রয় না দিত তাহলে মিয়ানমার সেনা, বিজিপি ও সশস্ত্র রাখাইন জনগোষ্ঠির হাতে অথবা নাফ নদীতে প্রাণ দিত হতো। তাই বাংলাদেশে সরকারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞতা কথা জানান তিনি। তার মতো একই অভিমত অন্যান্য রোহিঙ্গাদের। তারাও চায়, নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd