সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিনিধি : পরিবারের সকল সদস্যের রাতের খাবার শেষ। ঘুমোতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেউ কেউ। এরই মধ্যে একজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। উদ্ধারে ছুটে এলেন অন্যজন। কিন্তু তিনিও একই কায়দায় গড়িয়ে পড়লেন মেঝেতে। অপরদিকে আরেকজন বাথরুমে পড়ে যাবার শব্দ হলো। এভাবে একে একে পরিবারের সাত সদস্য জ্ঞান হারালেন।
সিলেট নগরীর লামাবাজার বিলপার আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ১৩ নম্বর বাসায় গত শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
স্বজনদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, আব্দুল মতিন চৌধুরী (৬৫) স্ত্রী, দুই পুত্র, দুই পুত্রবধু এবং এক কন্যা নিয়ে লামাবাজার বিলপার এলাকার বি ব্লকের ১৩ নম্বর বাসার নীচতলায় ভাড়া থাকেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার ভেতরে মাত্র আধাঘন্টার ব্যবধানে এক এক করে পরিবারের সবাই জ্ঞান হারান। একজন দুইজন করে জ্ঞান হারানোর ঘটনায় অন্যরা সাথে সাথে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। পরে স্বজনরা তাদের সকলকে উদ্ধার করে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আব্দুল মতিন চৌধুরীর ভাগ্নে ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ ডেইলি সিলেটকে জানান, খাবারে কোনো প্রকার বিষক্রিয়ায় কেউ অসুস্থ হননি বলে চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন। যেহেতু তিন তলা ভবনের নীচতলার বাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা ধারণা করছি ডাকাতির উদ্দেশ্যে কেউ কোনো ধরণের গ্যাস বা স্প্রে ব্যবহার করে থাকতে পারে।
ঠিক কী কারণে একই পরিবারের ৭ সদস্য মাত্র আধা ঘন্টার ব্যবধানে জ্ঞান হারালেন বিষয়টি জানতে ওয়েসিস হাসপাতাল চিকিৎসক ডা. শিপলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হাসপাতালের অভ্যর্থনায় কর্তব্যরত মফিজ উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে কোনো তথ্য দেয়া যাবে না।
হাসপাতালের অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অসুস্থদের আইসিইউ বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রোববার রাত সাড়ে ৮টা) তিনজনের জ্ঞান ফিরেছে তাদেরকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখনও আইসিইউতে রয়েছেন বাসার কর্তা আব্দুল মতিন চৌধুরী, স্ত্রী, ও বড়ছেলে সুহেল আহমদ চৌধুরী।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd