পুলিশের হাতে দুই ছাত্র আটক : মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি শাবিপ্রবি প্রশাসনের

প্রকাশিত: ১১:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২৩

পুলিশের হাতে দুই ছাত্র আটক : মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি শাবিপ্রবি প্রশাসনের

Manual8 Ad Code

কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জে ১৪ বোতল ভারতীয় মদসহ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে কোম্পানিগঞ্জ থানাপুলিশ।

Manual5 Ad Code

শুক্রবার(০৪ঠা আগস্ট) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কাঞ্চন চক্রবর্তী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাজমুছ শাকিব ও অপরজন সাজিদ শাকিব। তারা দুজনই কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

Manual5 Ad Code

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (০৩রা আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটায় ভোলাগঞ্জ সীমান্ত থেকে ভারতীয় মদ কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে ভোলাগঞ্জ নতুন টুলবক্সের সামনে থেকে তাদের বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৪ বোতল মদসহ গ্রেফতার করা হয়। কোম্পানিগঞ্জ থানাপুলিশের বিশেষ টহলদল তাদের গ্রেফতার করে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যেহেতু মাদকসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছে তাই এখানে আমাদের কিছু করার নেই। পুলিশ আইননুসারে ব্যবস্থা নিবে।

কোম্পানিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শোভনজিৎ তালুকদার বলেন, ভারতীয় মদসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই আসামির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

Manual1 Ad Code

উপাচার্য বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরু টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। প্রতি বছর ভর্তির সময় ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধুমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া কেউ যেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাদক গ্রহণ না করতে না পারে তাই প্রক্টটিয়াল বডি সব সময় সতর্ক থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যেন মেসে বা কোথাও মাদক না নেয় সে লক্ষে তাদের সতর্ক করা আছে। আমাদের আবাসিক হল গুলোতে মাদকগ্রহণ কার্যক্রম নেই। হল প্রভোস্টরা সব সময় এসব বিষয়ে সতর্ক থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সাইকোলকিস্ট নিয়োগ করা আছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি মেসে বা বাসায় মাদক নেয় তার তথ্য পেলে তাকে কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট দিয়ে কাউন্সিলিং এর আওতায় আনা হয় এবং সুস্থ করে তোলা হয়। আমার আহবান থাকবে শিক্ষার্থীরা যেন মাদককে ঘৃণা করে এবং মাদক থেকে দূরে থাকে।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..