সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথাপুর উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউপি মোহাম্মদপুর গ্রামে সাধারণ জনগণের চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৩ জুন) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মোহম্মদপুর গ্রামের নিবাসী মো. আজাদ মিয়া।
তিনি জানান, এ রাস্তাটি দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ হাওড়ে ও কবরস্থানে যাতায়াত করে। এখানে আমাদের পারিবারিক ২টি ও গ্রামের ১ টি কবরস্থান রয়েছে যেখানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।
আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও গ্রামের চম্পা বেগম, মুহিত মিয়া, মো. মুহিব মিয়া গং রাতের অন্ধকারে জবরদস্তিমূলকভাবে দেয়াল তুলে। এতে করে এলাকার জনসাধারণের হাওড় ও গোরস্থানে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে গত ২২ মে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়। গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে গিয়ে আমাদেরকে সবাইকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগিরা জানান, গত ২০১৫ সনে এ রাস্তা নিয়ে গ্রামের সালিশি ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে প্রথমে লন্ডন ও পরে বাংলাদেশে আপোষ মিমাংসা হয়। মুহিত ও মুহিব গংদের পক্ষ থেকে একটি অঙ্গিকারনামা লিপিবদ্ধ করা হয় যাতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে যে, ভবিষ্যতে কোন দিন উক্ত রাস্তায় চলাচলে বাধা দেবে না।
অথচ এখন জনসাধারণের চলাচলের এ রাস্তায় পরিকল্পিতভাবে দেয়াল তুলে দীর্ঘ ৫০ বছরের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে বন্দি করে রাখার পাঁয়তারা করছে তারা। উক্ত সড়কে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয় কর্তৃক নির্মিত ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজও রয়েছে। মুহিত ও মুহিব গং উক্ত ব্রিজটি তাদের নিজস্ব মালিকানা ব্রিজ বলে হাস্যকর দাবি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুহিত ও মুহিব গং রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দেয়াল জনস্বার্থে অপসারণকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মূল ঘটনা আড়াল করার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে। তারা চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দেয়াল অপসারণকে তাদের বাড়ি দখলের চেষ্টা বলে অপপ্রচার করছে। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের অবৈধভাবে তৈরি দেয়ালকে বাড়ির দেয়াল বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এ চক্রের অপতৎপরতা ও মিথ্যাচারে সামাজিক, পারিবারিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে ভুক্তভোগিরা জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সহযোহিতা কামনা করেছেন তারা।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd