সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে: পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২০

সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে: পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিস্কৃত উপ পরিদর্শক আকবর হোসেন ভূইয়াকে স্খানীয়দের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

Manual5 Ad Code

সোমবার সকালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত থেকে আকবরকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।

Manual2 Ad Code

এরপর সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার। এতে তিনি বলেন, আকবর কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে এমন তথ্য আমরা পেয়েছিলাম। সেই তথ্যে রোববার থেকে কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। সকালে সাদা পোষাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এরআগে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছিলো, রায়হান আহমদ মারা যাওয়ার দুদিন পরই আকবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছেন।

Manual1 Ad Code

এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সে আগে ভারতে পালিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসতে পারে। তবে আমরা তাকে সীমান্ত এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করেছি।

আকবরকে আটকের কিছু ভিডিওচিত্র সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায় একদল যুবক আকবরের হাত পা বেঁধে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসছেন। এসময় ওই যুবকরা আকবরকে বিভিন্ন প্রশ্নও করেন।

ওই যুবকরা বাংলায় কথা বললেও তাদের শারিরীক গঠন ও কণ্ঠস্বর ছিলো অবাঙালিদের মতো। কানাইঘাট এলাকার স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, ভিডিওতে যে যুবকদের দেখা গেছে তারা খাসিয়া সম্প্রদায়ের এবং যে জায়গার ছবি দেখা গেছে তা ভারতের অভ্যন্তরের।

Manual5 Ad Code

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একটি ভিডিও ছড়িয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেটি এখনো আমি দেখিনি। আমরা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকেই পুলিশের স্থানীয় কিছু বন্ধদের সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেপ্তার করেছি। রাতেই আকবরকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বলেন, কেউ আইনের উর্ধে নয়। যে কেউ আইন অমান্য করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। এসআই আকবর জঝন্য কাজ করেছে। তাই তাকেও শাস্তি পেতে হবে।

গত ১০ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..