সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিনিধি : সুদের টাকা আদায় করতে গিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক মোটর মেকানিককে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে রবিবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ নিহত মোটর মেকানিক শাহিন মিয়ার মা উপজেলার শিমুলতলা গরিয়াবাজ গ্রামের আজাদ মিয়ার স্ত্রী ছালেমা বেগম তার ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামী করা হয়েছে, উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে বাবলু (৩২) ওরফে জাহাঙ্গীর আলম বাবলু সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩ ব্যাক্তিকে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানায়, উপজেলার বারহাল গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে বাবলু ওরফে জাহাঙ্গীর আলম বাবলু সুদের পাওনা আট হাজার টাকার জন্য গত ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদাঘাট বাজার থেকে মোটরসাইকেলসহ মেকানিক শাহিনকে ধরে নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে নানা কায়দায় নির্যাতন করে পিটিয়ে হত্যা করে। একপর্যায়ে শাহিনের মৃত্যু হলে বাবলু ও তার সহযোগীরা মুখে বিষ ঢেলে চিকিৎসার জন্য রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। থানা পুলিশ পরদিন বাবলুর গ্রামের বাড়ি বারহাল থেকে শাহিনের নিকট থেকে আটকে রাখা একটি প্লাটিনা ১০০ সিসি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে আসে। ’ এদিকে হত্যাকান্ডের চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ গতরাত রবিবার পর্য্যন্ত অভিযুক্ত আসামী বাবুলকে গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকার লোকজনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’
অপরদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বাবলু এলাকার হতদরিদ্র লোকজনকে চড়া সুদে টাকা দিয়ে তা আদায়ে করতে গত কয়েক বছরে একাধিক বাক্তিকে বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে মারধর এমনকি কারো কারো জায়গা- জমিও লিখে নিয়েছে।’ বাবুল এক তার গ্রামের এক দরিদ্র যুবক বাড়ির জায়গার দলিল নিখে না দেওয়ায় বাবুল গত দেড় বছর পুর্বে ওই যুবককে ১০পি স ইয়াবা ট্যাবলেট পুকেটে দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।’ পার্শ্ববর্তী ওলিপুর বাগগাঁও গ্রামের আরেক প্রবীণ ব্যাক্তিকে সুদের টাকার জন্য পিটিয়ে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে। উপজেলার শিমুলতলা, বারহাল, চন্দ্রপুর, কামড়াবন্দ, মোল্লাপাড়া, ওলিপুর বাগগাঁও সহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক দরিদ্র পরিবারের লোকজন বাবলুর চড়া সুদের জালে সর্বস্ত্র হারিয়ে কেউ কেই দেনা শোধ না করতে পেওে বাবুল আতংকে এলাকা ছাড়াও হয়েছেন।’
নিহত শাহিনের মা ছালেমা বেগম রবিবার রাতে বলেন, ‘বাবলু ও তার সহযোগীরা মিলে আমার ছেলেকে বাড়িতে আটকে রেখে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী একসময় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন এখন বার্ধক্যেও জন্য তিনি শয্যাশায়ী , শাহিনই ছিল পরিবারের ভরসা পোষণের একমাত্র ভরসা, আমার ছেলেকে সুদের টাকার জন্য পিটিয়ে হত্যা করছে আমি আমার ছেলে হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচারের আশায় মামলা দায়ের করেছি।’
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর রবিবার রাতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত বাবুলকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd