নগরবাসীর এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০১৯

নগরবাসীর এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?

Manual7 Ad Code

সিলেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বৈদ্যুতিক ক্যাবল প্রকল্পের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরীর ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। একেতো বৃষ্টিতে জলে-কাদায় মাখামাখি হতে হচ্ছে, তার উপর প্রায়ই ছোট ছোট খালের মতো নালায় পড়তে হচ্ছে ক্রেতাসাধারণসহ ব্যবসায়ীদের।

সিলেট নগরীর মাথার উপর তারের জঞ্জাল পরিষ্কার করতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল আন্ডারগ্রাউন্ড বৈদ্যুতিক কেবল প্রকল্প।

Manual7 Ad Code

দ্বিতীয় মেয়াদে সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এ ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহনে পিডিবিকে প্রস্তাব দেন। তারাও সম্মত হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে।

৫৫ কোটি টাকা বাজেটের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সহযোগিতা করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। কিন্তু প্রকল্পটি হাতে নেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে কাজ বন্ধ থাকে প্রায় মাস-দেড়েক।

Manual2 Ad Code

মাসখানেক আগে দ্বিতীয়বারের মত আবার কাজ শুরু হয়। সেই সাথে শুরু হয় ব্যবসায়ীসহ নগরবাসীর দুর্ভোগ। বিশেষ করে, বৃষ্টির কারণে জল-কাদায় একাকার হওয়ায় দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়।কাষ্টমাররা দোকানে প্রবেশ করতে পারছেন না। তারা অনেকই চরম বিরক্তি প্রকাশ করছেন।

এতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে সাধারাণ ব্যবসায়ীদের। তাদের ব্যবসা প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত মনে করছেন তারা। খুলতে শুরু করেছেন মুখ। তারা নানা অভিযোগ তুলছেন এই প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে।

Manual6 Ad Code

তারা বলছেন, পিডিবির কর্তারা তাদের স্বার্থকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। ভরা বর্ষায় এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এদিকে দিনের পর দিন খাল খনন করে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে সমস্যা হচ্ছে বেশী।

জিন্দাবাজারস্থ সিলেট সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীতে অবস্থিত আলী ম্যানশনের এ জি ইলেক্ট্রনিক্স এর সত্ত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ আদনান জানান, গত ২০-২৫ দিন যাবত দোকানের সামনের অংশটা ভাঙ্গা। অনেকটা খালের মতো অবস্থা। আর তাই বেঁচাকেনা লাটে উঠেছে। তাছাড়া এর আগেও একই অবস্থা ছিল। একই অভিমত, এশিয়া ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রনিক্স গার্ডেনের সত্ত্বাধিকারী জহির বাদশা ও আব্দুল গফুর।

এছাড়া আম্বরখানা, বন্দরবাজার এবং চৌহাট্টা এলাকার সড়ক সংলগ্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও এমন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

Manual4 Ad Code

তারা বলছেন, আমাদের ব্যবসা কমে গেছে। দ্রুত প্রকল্পটি শেষ না হলে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।

এদিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সরকারী সংস্থা পাওয়ার ডেভলাপমেন্ট বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, তারা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এ প্রকল্পটি শেষ হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..