কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, গোয়াইনঘাটের পুলিশ সদস্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৯

কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, গোয়াইনঘাটের পুলিশ সদস্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে

Manual6 Ad Code

সিলেটে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ দেয়ার কথা বলে সাতজনের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সিলেট রেঞ্জ পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের নায়েক খোরশেদকে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, পুলিশ নিয়োগের আগে অনৈতিক চুক্তি করে সাতজনকে সিলেটে রেখে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করান তিনি। এদের মধ্যে ছয়জনই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন পাঁচজন।

Manual5 Ad Code

এ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পেয়ে গত রোববার রাতেই আটক করা হয় এই পুলিশ সদস্যকে। সোমবার গোয়াইনঘাট থানায় এক চাকরি প্রার্থীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে তোলা হয় নায়েক খোরশেদকে।

সিলেটের কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান চৌধুরী জানান, খোরশদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত পাঁচ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Manual5 Ad Code

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা পরীক্ষা দিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে। এরপরও টাকার জন্য তাদের পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল খোরশেদ। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতেই তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

Manual4 Ad Code

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন সিলেট পুলিশ লাইন্স স্কুল ও সরকারি আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে কনস্টেবল পদে বাছাইকৃত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ৩ জুলাই জেলা পুলিশ লাইন্সে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়। একই দিন উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।

Manual6 Ad Code

৪ জুলাই সন্ধ্যায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের প্রাথমিক বাছাইয়ের (শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক) ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে ২৯৭ জন পুরুষ, ৫১ জন নারীসহ মোট ৩৪৮ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। এরপর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয় ঘুষ ছাড়া মাত্র ১০০ টাকার ফরম পূরণ করেই চাকরি পেয়েছেন তারা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..