সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
নিজেস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড়,চাঁনপুর,টেকেরঘাট,বালিয়াঘাট ও চাঁরাগাঁও সীমান্ত দিয়ে বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নিয়ে লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লা,পাথর ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ গরু ও ঘোড়া পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো আজ ২৬.০১.১৯ইং শনিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী ও সাহিদাবাদ এলাকা দিয়ে ভারত থেকে লড়ি বোঝাই করে প্রায় ৩৫০মে.টন পাথর পাচাঁর করা হয়েছে। এজন্য লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিব ১লড়ি পাথর থেকে ২০০টাকা করে চাঁদা নিয়েছে চোরাচালান সিন্ডিকেডে সদস্য বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী লাউড়গড় গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া ও অলি ছোবানের ছেলে দিলহাজ মিয়াকে দিয়ে।
এছাড়াও পাথরের লড়িতে পাথরের ভিতরে করে মদ,গাঁজা,হেরুইন ও ইয়াবা পাচাঁর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী বিজিবির ওপর হামলার মামলার আসামী চোরাচালানী আব্দুল আলী ভান্ডারী,জয়নাল মিয়া,রমজান মিয়া,ফালান মিয়া,মোবারক মিয়া,বাবুল মিয়াগং ভারত থেকে ১বস্তা(৫০কেজি) কয়লা পাঁচারের জন্য বিজিবি ক্যাম্পের নামে ২২০টাকা চাঁদা নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত ২টা থেকে ভোর ৬টায় পর্যন্ত প্রায় ১২০মে.টন কয়লা পাচাঁর করে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত শহিদ মিয়ার ডিপু ও চোরাচালানী ফরিদ মিয়া বাড়ি নিয়ে মজুত করে। তার সাথে ৫ কার্টন মদ ও ৩০০পিছ ইয়াবা পাঁচার করে আব্দুল আলী ভান্ডারী ও রমজান মিয়া দুধের আউটা গ্রামে নিয়ে বিক্রি করে বলে জানাগেছে। এছাড়া চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী মাদক মামলার জেলখাটা আসামী আবু বক্কর ও রফিকুল ইসলাম ৬টি ঘোড়া ও ৮টি গরু পাচাঁর করে শিমুলতলা, মানিগাঁও,বাদাঘাট ও শান্তিপুর গ্রামের নিয়ে বিক্রি করাসহ নয়াছড়া দিয়ে ২০মে.টন পাথর পাঁথর ও ৮ কার্টন মদ পাচাঁর করে। এসবের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০মে.টন মাছ ও সবজি ভারতে পাচাঁর করেছে আবু বক্করের ছেলে আলমগীর। আর টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া,বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ২০মে.টন কয়লা পাচাঁর করেছে ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী ফিরোজ মিয়াগং।
এ ব্যাপারে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার শহিদ বলেন,আমি এই ক্যাম্পে নতুন এসেছি,এব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার হাবিব বলেন,আমার সীমান্ত এলাকায় দিয়ে আমি কি করব সেটা আমার ব্যাপার,এসব বিষয়ে আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না, এব্যাপারে আমার সোর্সদের সাথে বলেন। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কোন সোর্স নাই,চোরাচালান ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd