নিজস্ব প্রতিবেদক :: নগরীর সন্ধ্যাবাজারে ‘মিনি পতিতা পল্লী’ উচ্ছেদের পর এবার ক্বিনব্রীজ এলাকার ‘অপরাধ আস্তানা’ বন্ধে হানা দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

Manual5 Ad Code

বুধবার বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আকষ্মিক সেখানে অভিযানে যান তিনি। অভিযানকালে ক্বিনব্রীজের নিচ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় ধ্বংস করা হয়েছে তাদের আস্তানাও। এসময় ব্রীজের নীচ থেকে অসামাজিক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ, জুয়া ও মাদক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

Manual7 Ad Code

সিসিক সূত্র জানায়, সুরমার তীরের ক্বীনব্রীজের নীচ, আলী আমজদের ঘড়ি ঘরের আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাসমান কিছু লোক চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, অসামাজিক কার্যকলাপসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল একটি চক্র।

Manual2 Ad Code

স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কোতোয়ালী থানার একদল পুলিশ নিয়ে সেখানে অভিযানে যান। অভিযানে এক নারী সহ তিনজনকে আটক করলেও বেশ কয়েকজন ভাসমান পতিতা ও খদ্দের পালিয়ে যায়।

আটককৃতরা হচ্ছে- সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ গ্রামের মৃত সুজিতের মেয়ে টুনি বেগম (২৩), মৌলভীবাজার জেলার মিরপুর এলাকার গনি মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (১৯) ও সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মো. শাহনুর মিয়ার ছেলে সিয়াম আহমদ (২০)।

মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়েজ আহমদ ফায়েজ জানান, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।’

Manual8 Ad Code

এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আধ্যাত্বিক নগরী সিলেট। এখানে কোন অপরাধের স্থান নেই। বিশেষ করে আধ্যাত্বিক এই নগরীতে অসামাজিক কার্যকলাপসহ সকল ধরণের অপরাধ বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।’