সিলেট ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ডৌবাড়ী ইনিয়নের ঘোষগ্রাম মৌজার বোগাহাওর এক নং সরকারি খাস খতিয়ানের জমি জবরদখল করে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও এসকেবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে উপজেলার পাঁচপাড়া মৌজার একটি প্রভাবশালী মহল। সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি খনন করে বিক্রি অব্যাহত থাকায় দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঘোষগ্রাম গ্রামবাসীর পক্ষে আস্কর আলীর ছেলে মো. জমির উদ্দিন ১০জনের নাম উল্লেখ করে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের আছদ আলীর ছেলে আইয়ুব আলী, মছদ আলীর ছেলে আজিজুর রহমান, আতর আলীর মাহমুদ আলী, মছদ আলীর ছেলে আজিজুর রহমান, আব্দুল বারীর ছেলে আমির উদ্দিন, হবিব উল্যার ছেলে সিরাজ উদ্দিন, আছদ আলীর ছেলে আইয়ূব আলী, হবিব উল্ল্যাহর ছেলে ইউনুছ আলী, লাতু গ্রামের আঞ্জব আলীর ছেলে কুদরত উল্যা ও আব্দুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ আলী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরকারি খাস খতিয়ান ভূক্ত ঘোষগ্রাম গ্রামবাসীর জনসাধারণের গো-মহিষাদি এবং বোরো ফসল ফলানোর এক মাত্র জায়গা। তাদের পূর্ব পুরুষ হতে এ জায়গায় গরু-মহিষ ও বোরো ফসল চাষ করে আসছিলেন। এখনও এই ভূমি ব্যতিত গরু-মহিষ এবং লোকজন চলাচলের জন্য এবং বোরো ফসল ফলানোর বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই।
কিন্তু অভিযুক্তরাসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি সরকারি খাস ভূমি তোয়াক্কা না করে ড্রেজার মেশিন ও এসকেবেটর দিয়ে গভীর খনন করে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করছেন। এতে গ্রামবাসীগন বাঁধা দিলে বাঁধা তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বিবাদীরা।
এদিকে বিবাদীরা ৯৯ সালের আগে গোপনে এই জমি কৃষি বন্দোবস্ত গ্রহণ করে। পরে স্থানীয়রা সহকারী জজ আদালত, গোয়াইনঘাটে স্বত্ব-মোকদ্দমা নং-১৪/১৯৯৯ দায়ের করলে গ্রামবাসীর পক্ষে ২০০১সালে রায় দেন বিজ্ঞ আদালত।
গোচারণ ও বোরো রকম ভূমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও এসকেবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাবি জানান ঘোষগ্রাম গ্রামবাসী।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd