বিশ্বনাথে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো ইমাম, গ্রেপ্তার হলেন মুয়াজ্জিন ও মাতব্বর

প্রকাশিত: ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২০

বিশ্বনাথে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো ইমাম, গ্রেপ্তার হলেন মুয়াজ্জিন ও মাতব্বর

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে লজিং থাকা পরিবারের বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. রুহুল আমীন শাহার (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্বনাথের ইসলামপুর গ্রামের নতুন জামে মসজিদের ইমাম। অভিযুক্ত রুহুল দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ইমাম, মোয়াজ্জিন ও গ্রামের মাতবরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বড় বোন। পরে পুলিশ দুপুরে অভিযান চালিয়ে মসজিদের মোয়াজ্জিন মাহফুজ বিন আরিফ (১৯) ও গ্রামের মাতবর মখদ্দছ আলীকে (৬৩) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে রুহুল আমীন শাহার পলাতক রয়েছেন।

গ্রেপ্তার মোয়াজ্জিন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মাওলানা আরিফ উদ্দিনের ছেলে ও মাতবর মখদ্দুছ আলী ইসলামপুরের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে ইসলামপুর গ্রামের একটি বাড়িতে লজিং থেকে নতুন জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন মো: রুহুল আমীন শাহার। আর ২ বছর ধরে ওই বাড়িতেই গৃহকর্মীর কাজ করছেন একই গ্রামের এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী। গত মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে করে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির উঠান থেকে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধরে নিজ কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন রুহুল আমিন শাহার। পরে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোয়াজ্জিন ও গ্রামের মাতবররা বৈঠক করেন। বিষয়টি জেনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পায়। এরপর থানায় মামলা হলে মোয়াজ্জিনসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নির্যাতিত কিশোরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, প্রধান আসামিকে পালাতে সহযোগীতা করায় মামলার এজাহারনামীয় অপর আসামি মোয়াজ্জিন ও মাতবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2020
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..