রণেশ ঠাকুরকে দোতারা দিবেন সুনামগঞ্জের আ’লীগ নেতা ব্যারিস্টার ইমন

প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০

রণেশ ঠাকুরকে দোতারা দিবেন সুনামগঞ্জের আ’লীগ নেতা ব্যারিস্টার ইমন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : দুবৃত্তরা বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের শীষ্য বাউল রণেশ ঠাকুরের উজানধল গ্রামের বাউল গানের আসরঘর ও তার বাউল গানের যন্ত্রাংশপুড়িয়ে ফেলায় তিনি নির্বাক হয়ে গেছেন। তার শখের দোতারার জন্য কাঁদছেন তিনি। তার এই কান্না শুনে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বাউলের শখের দোতারা কিনে দিবেন বলে তাকে আশ্বস্থ করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বাউল রণেশ ঠাকুরের সঙ্গে তার বাড়িতে কর্মী পাঠিয়ে ভিডিও কলে কথা বলেন। তিনি তাকে সহমর্মিতা জানান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করতে আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে সহকারি পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা বাউল, তার স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

গত রবিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা বাউল রণেশ ঠাকুরের বাউল গানের আসর ঘর পুড়িয়ে দেয়। এই আসর ঘরে থাকা তার ৪০ বছরের সঙ্গীত সাধনার যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর মধ্যে তার রচিত গানের খাতা ও প্রিয় দোতারাটাও জ্বলে যায়। এ ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন বাউল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তারা এ ঘটনায় মৌলবাদী ও প্রগতিবিরোধী শক্তি জড়িত বলে সন্দেহ করছেন।

এদিকে বাউলের গানের আসর ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে শান্তনা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যরিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। এ সময় নির্বাক বাউল অশ্রুসজল নয়নে তার সাধের যন্ত্রপাতি পুড়ে যাওয়ার বর্ণণা দেন। বিশেষ করে তার সঙ্গীত জীবনের সারাক্ষণের সঙ্গী দোতারাটা পুড়ে যাওয়ায় খুব মর্মাহত হয়েছেন বলে জানান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বাউলের শখের দোতারাটি অবিকল আদলে বানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে তাকে আশ্বস্থ করলে বাউল খুশি হন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, বাউলরা হলেন নির্বিরোধ ও সমাজের ভালো মানুষ। রণেশ ঠাকুর শাহ আবদুল করিমের শীষ্য। তার ভরাট গলার ভক্ত হাওর-ভাটির বাউল ভক্তরা। তার সারাজীবনের সঙ্গীত সাধণার যন্ত্রাংশ গুলো পুড়ে যাওয়ায় তিনি খুব মর্মাহত। বিশেষ করে দোতারাটা পুড়ে যাওয়ায় তার মন ভালো নেই। আমি তাকে কথা বলে তার শখের দোতারাটা কিনে দেওয়ার কথা বলেছি। তিনি খুশি হয়েছেন। তাছাড়া প্রশাসনকেও এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছি।

সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বাউল রণেশ ঠাকুরের আসর ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। তদন্ত করে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..