গোলাপগঞ্জে শিকল বাঁধা মৃতদেহের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ

প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২০

গোলাপগঞ্জে শিকল বাঁধা মৃতদেহের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ

বাবর হোসেন :: সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাজিপুর সুকনা এলাকাস্থ সুরমা নদীতে গত ৩০ মার্চ ৩০ বছরের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ ।নদীর পানি থেকে লাশ উদ্ধার কালীন সময়ে মৃতদেহের পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল।

লাশ উদ্ধারের পর মৃতদেহের পরিচয় না পাবার কারণে বেওয়ারিশ হিসেবে মৃতদেহটি সিলেট স্থ মানিক পীরের টিল্লার কবরস্থানে দাফন করা হয় পায়ে শিকল লাগানো অবস্থায় ।গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একলাছ নামের একজন কর্মকর্তা থানার জিডি নং ১৫৬৩ মুলে মৃতদেহ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হতে পারে গোলাপগঞ্জ পুলিশ ষ্টেশনে। নদীর পানিতে পড়ে থাকা শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মৃত দেহ ঊদ্ধারের পরও হত্যা মামলা রুজু না করার ক্ষেত্রে হয়তো মৃত দেহের ময়না তদন্ত রিপোর্টের প্র‍য়োজনীয়তার বিষয়টি অজুহাত হিসেবে দাড়ঁ করানো যাবে। জানা গেছে মৃতদেহটি ছিলো সিলেট দক্ষিন সুরমা থানার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের খালপার গ্রামের মৃত উসমান আলীর ছেলে মুরাদ মিয়ার (৩০) তিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

তার সৎ ভাই ফরহাদ আহমদ জানিয়েছেন, মৃতদেহ উদ্ধারের ৪দিন পর মুরাদের মা সালমা বেগম ছেলের পরনের কাপড় দেখে নিশ্চিত করেন লাশটি মুরাদের ছিলো। মুরাদের সৎ ভাই ফরহাদ আরো জানান,মৃত্যুর কয়েকদিন আগে মুরাদকে অসুস্থ হিসেবে উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ রনকেলীর’ ছাব বাড়ী’ হিসেবে পরিচিত এক বাড়ীতে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং চিকিৎসার নামে তাকে প্রতিদিন নির্যাতন করা হতো।

রনকেলির সেই বাড়িতে থাকা অবস্থায় মুরাদ একদিন তার সৎ ভাই ফরহাদের সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল সেই বাড়িতে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে।মুরাদের সেই কথাগুলো সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফরহাদের মোবাইলে রেকর্ড কৃত অবস্থায় আছে। মৃত মুরাদের পিতা ওসমান আলী মারা যাওয়ার তিন মাস পর তার মা সালমা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে তার পিত্রালয় গোলাপগঞ্জের বাঘার রুস্তমপুরে চলে যান ।কিন্তু তিনি পিতার বাড়িতে অবস্থান না করে রনকেলির সেই ছাব বাড়িতেই থাকেন।

মৃত মুরাদের সৎ ভাই আরো জানান ,মৃতদেহ শনাক্ত হওয়ার পর গোলাপগঞ্জ পুলিশ তাকে মুরাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করার চেষ্টা করেছে ।সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে মোবাইলের রেকর্ড টি নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে পুলিশ ।এছারা মুরাদের মা সালমা বেগম ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি নিয়ে তেমন তৎপর নয় ।রনকেলির সেই ছাব বাড়ির রহস্য ঘেরা পরিবেশ নিয়ে পুলিশেরও তেমন তৎপরতা নেই ।সেই সাথে গোলাপগঞ্জের অনেক সংবাদকর্মী ও মুরাদের মৃত্যু শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার পরবর্তী অনুসন্ধানী তৎপরতা থেকে রহস্যজনক ভাবে নীরব রয়েছেন।

যে কারণে উক্ত মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এর বিশেষ নির্দেশনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরী মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..