বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: অনিয়ম-দূর্নীতি ও ভূঁয়া ভাউচারের মাধ্যমে মাদ্রাসার অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেলীকোনা গ্রামস্থ ‘এলাহাবাদ ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ এনে গত ১২ মার্চ সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগপত্র প্রদান করেন একই মাদ্রাসার আজীবন সদস্য আবদুস সবুর। পাশাপাশি তিনি (সবুর) দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’ও আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই দুটি অভিযোগের একটি অর্থ্যাৎ জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করতে মাদ্রাসায় যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমীর কান্তি দেব। তিনি বলেন তদন্ত রিপোর্ট দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। কিছু তথ্য বাকি থাকায় তিনি এখনও তদন্তের বিষয় কিছু বলতে পারছেন না বলে জানান।
অভিযোগে আবদুস সবুর উল্লেখ করেন, এলাহাবাদ ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর ধরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই তিনি (অধ্যক্ষ) মাদ্রাসায় ছোটখাট কাজ করে ভূঁয়া ভাউচারের মাধ্যমে নিয়মিত অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ ও বরখাস্তের মাধ্যমে বাণিজ্য, ব্যাংক হিসাব এবং খাতায় ব্যাপক গড়মিল করে আসছেন। তার (অধ্যক্ষ) আমলে দীর্ঘ ২৩টি বছরে ওই মাদ্রাসায় কোন প্রকার উন্নতি হয়নি। মাদ্রাসাটি একটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যাস্থা। এছাড়াও তিনি অধ্যক্ষের পাশাপাশি খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মাদ্রাসা থেকে প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকা বেতনের পাশাপাশি কাজীর দায়িত্ব পালন হিসেবে প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। কিন্তু আয়কর রিটার্নে তিনি কাজী হিসেবে যে আয় হয় সেটি গোপন করে আসছেন। এভাবে মাদ্রাসা দিকে নজর না দিয়ে তিনি তার আখের গোছাতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার এই দূর্নীতিতে মাদ্রাসার দু’একজন শিক্ষকও সহযোগীতা করে আসছেন বলে তিনি (সবুর) তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
Sharing is caring!