সিলেট ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
ছাতক প্রতিনিধি :: সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে ১শ’৬০কোটি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক ডালাইয়ে ফাটল দেখা দেয়ায় এ ঘটনায় গত শুত্রুবার বিকালে সুনামগঞ্জ সড়কে জাউয়াবাজারে আরসিসি ডালাই সড়কের মধ্যে ফাটলের চিত্র দেখা দেয়ার ঘটনায় সামাজিক গনমাধ্যমে ব্যাপক সামালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর শান্তির দাবিতে জাউয়াবাজার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দ্যোগে গত শুত্রুবার সন্ধ্যায় ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার এলাকার ঝাড়– মিছিলটি বের করেন উপজেলা যুবলীগের শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জাউয়াবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন, মেম্বার আব্দুল হক,আব্দুল রহিম,মাহমুদ আলী ও আকবর আলীসহ নেতৃত্বে ঝাড়– মিছিল বের হয়। এসময় বাজারে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন মিছিলটি। জানা গেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সুনামগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন ও এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মানśানসহ এমপিরদের জোরালো সুপারিশের পর ১শ’৬০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প অনুযায়ী সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ৬৪ কিলোমিটার উভয় দিকে ৩ ফুট করে মোট ৬ ফুট প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১শ’৬০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দরপত্র আহবান করে। সিলেট থেকে গোবিন্দগঞ্জ (১) গোবিন্দগঞ্জ থেকে ডাবর (২) ডাবর থেকে সুনামগঞ্জ(৩) তিনটি প্রজেষ্ট মাধ্যমে সিলেট –সুনামগঞ্জ সড়কে কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২০ সালের অক্টোবর। সওজ সূত্র জানায় এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের সুনামগঞ্জ অংশে ৪৬ কিলোমিটার অংশে ৬ ফুট প্রশস্তকরণ এবং ২৪ ফুট নতুন করে বিটুমিনের সড়ক গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট, জাউয়াবাজার, লামাকাজি, মাধবপুর নতুনবাজার, ডাবর ও দিরাই সড়ক মোড় আরসিসি ডালাইয়ের কাজে অনিয়মে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিলেটের জনজেবি কন্সট্রাকসন (জয়েন্ট বেঞ্চার) বিরুদ্ধে। এ প্রতিষ্টান নি¤śমানে সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা অভিযোগ করে বলেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অবহেলার সুযোগে সড়ক সংস্কারে নিমśমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার কারণে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কের ডালাইয়ে ফাটল রাস্তা ধসে গেছে জাউয়াবাজারে। এলাকার সচেতন নাগরিক ক্বারি মাওলানা জুনাইদ আহমদ জানান, জনগণের টাকা দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে এই সড়ক। কোটি টাকা খরচ করেও এর সুফল পাচ্ছে না জনগণ। এর দায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরও নিতে হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সড়কে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে । তিনি বর্তমান অবস্থার জন্য সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলকেই দায়ী করে এবং ভারী যান নিয়ন্ত্রণ না করলে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সড়কের ফাটল ও ধসে যাওয়া কিছু অংশ মেরামত করা হয়।
এ ব্যাপারে সড়ক জনপদ বিভাগে প্রকৌশলী রমজান আলী জানান,তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস¦ীকার করে বলেন. ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে মাটি বোঝাই ট্রাক গুলো থেকে মাটি পড়ে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করায় ঘটনায় তাদের ট্রাকগুলো আটক করি। এ ঘটনাটি বিভিনśখাতে নিতে তারা আমার বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল করেছে। এদিকে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে জাউয়াবাজারে ডালাইয়ে উপর আংশিক সড়ক ফাটল দেখা দিচ্ছে বলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সরেজমিনে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ঢিলেঢালাভাবে রাস্তায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। রাস্তা প্রশস্থ করা হলেও তা ৩ ফুটের চেয়ে কম। তাছাড়া ৩ ফুট প্রশস্তকরণের পর রাস্তার পাশে অতিরিক্ত জায়গা রাখার কথা থাকলেও তা রাখা হয়েছে দায়সারাভাবে। সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের খালেদ আহমদ জানান,কাজ যে গতিতে করার কথা সে মতো হচ্ছে না। কাজের মানও খুব নিমś। কাজে যে সকল মেটেরিয়াল ব্যবহার করা হচ্ছে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আবু বক্কর রাজা জানান, কাজের মতো কাজ হলো না। যে যার খুশি মতো কাজ করে। সরকারের টাকার হরিলুট চলে। কাজের যে গতি তাতে আগামী দুই বছরেও এইটা শেষ হবে না। রাস্তা ছোট তার মধ্যে কাজ চলায় যেকোনো সময় বড় দুঘর্টনা ঘটতে পারে। রাস্তার কাজ সঠিক মতো হচ্ছে না। ৬৪ কিলোমিটার রাস্তার দুই দিকে ৩ ফুট করে বাড়ানোর নিদেশ থাকলে ও অনেক জায়গায় দুই ফুট আড়াই ফুট করে বাড়ানো হচ্ছে। কাজের ধীরগতির কারণে সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে ছোট-বড় দুঘর্টনা ঘটছে। ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ছোট-বড় দুঘর্টনা ও যানজট এখন নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd