সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ভাতে চুল পাওয়ার কারণে সাথী(১০)নামে এক গৃহকর্মীকে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এই ঘটনায় অভিযুক্ত ডিস্ক জকি (ডিজে) কাজল রেখাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৩ মে ঢাকার দক্ষিণখানে কাজল রেখার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। গৃহকর্মী সাথী মাত্র দুই মাস ধরে কাজলের বাসায় কাজ করত। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি তপন চন্দ্র সাহা কাজল রেখার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে জানান, গত ২৩ মে, বুধবার সাথী ভাত রান্না করে। পরে ভাতের মধ্যে একটা চুল দেখতে পেয়ে কাজল সাথীকে প্রথমে কাঠের খুন্তি এবং স্টিল দিয়ে মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করে দেয়। এরপর তার চুল ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা মেরে মাথা ফাটিয়ে ফেলে। এরপর গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে সাথীকে হত্যা করে কাজল।
তপন চন্দ্র সাহা আরও জানান, সাথীকে হত্যার পর মরদেহ লুকানোর জন্য প্রথমে একটা বড় সিলভারের হাড়িতে লুকিয়ে তার উপর কাপড়চোপড় রেখে একটা ঢাকনা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখেন কাজল। পরে বাসা থেকে খানিকটা দূরে থাকা তার মা এবং মামাকে গিয়ে রাতের ঘটনাটি জানান তিনি। একপর্যায়ে কাজল তার নানীর সঙ্গে গিয়ে একটা লাগেজ কিনে আনেন সাথীর মরদেহ গুম করার জন্য।
২৪ মে সকাল ১১টার দিকে লাশভরা লাগেজটি নিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন মামা শরিফুল। পেছনে আরেকটি রিকশায় ছিল ডিজে কাজল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, আব্দুল্লাহপুর-শ্যামলী বাস কাউন্টারে কোনো একটা গাড়িতে টিকেট কেটে সেই বাসের লকারে লাশসহ লাগেজটি রেখে পালিয়ে যাওয়া।
কিন্তু পথিমধ্যে কোটবাড়ী রেলগেটে একটা পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে মামা শরিফুল ধরা পড়েন। সে সময় পুলিশ তাকে আটক করেন এবং পিছন থেকে কাজল তা দেখতে পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে ২৬ মে পুলিশ কাজল রেখা এবং তার মাকে গ্রেফতার করে। ডিজে কাজল রেখা তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাথীকে হত্যার পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেয়।
ওসি বলেন, কাজলের মা, নানী এবং মামা শরিফুল এই মরদেহ গুম করার কাজে তাকে সহায়তা করেছে। শরিফুল এখন পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে এবং কাজল আর তার মা এখন জেল হাজতে।
এ ঘটনায় সাথীর বাবা রহমত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd