সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রযুক্তি দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথ গুলো যেমন সহজ করে দিয়েছে প্রযুক্তি, তেমনি মানুষের প্রতিটি ইচ্ছে ভালোবাসাও গ্রাস করেছে। আর বর্তমান সমাজে বিশেষ করে প্রবাসীদের মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিয়ে করার প্রবণতাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে। কিন্তু সমাজে এ ধরনের বিয়ের ব্যাপারে পক্ষ-বিপক্ষ মত ও সংশয়ের সৃষ্টিও হচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারের ভিডিও কলের মাধ্যমে নিশাত নামের এইচএসসি এক শিক্ষার্থী বিয়ে করেছেন। তিনি বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করা অবস্থায় সে ফেসবুক ব্যবহার করতো, যার ফলে আহসান হাবিব নামে এক ছেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ফোন নম্বর আদান প্রদানও হয়। হঠাৎ একদিন আহসান প্রেমের প্রস্তাব দেয় নিশাতকে। রাজি না হলে তাকে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখানো হয় ‘আহসান গলায় ফাঁসি দিচ্ছেন’। শেষমেষ রাজি হন নিশাত।
‘প্রেম চলতে চলতে একটা সময় আহসান বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তখন আমার পরীক্ষা চলছিলো। আহসান জেদ ধরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিয়ে করি। পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়।’
গত (৬ এপ্রিল) বেসরকারি টেলিভিশন ইন্ডিপেন্ডেন্টে তালাশের একটি পর্বে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
নিশাত বলেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেম করবো, আর সেটা বিয়ে পর্যন্ত গড়াবে। আবার এতো কষ্টও পাবো। কারণ আমার জানা ছিলনা, আহসানের আরেকটি বউ আছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের এই সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে মামলা করে।’
এমনই আরও একজন জসীম উদ্দিন ভুঁইয়া। রাজনৈতিক এই নেতাও প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘হেনস্তার’ স্বীকার হয়েছেন। তিনি জানান, ‘হঠাৎ একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার ফেসবুক আইডি হেক হয়ে গেছে। তার একদিন পর জসীম উদ্দিনের আইডি থেকে খারাপ ছবিও পোস্ট করা হয়। এতে করে তিনি সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা সমস্যায়ও পড়েন।’
ফেসবুকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হন মোনালিসা। তিনি ২০১৫ সালে সামাজিক এই যোগাযোগের মাধ্যমে জসীম নামের এক ব্যক্তির সাথে প্রেমে জড়ান। তারপর তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। আবার একটা সময় তাদের সম্পর্ক শেষও হয়ে যায়। কিন্তু জসীম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে তাদের অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে দেন। এতে তিনি আত্মহত্যার পথও বেঁছে নিয়েছিলেন।
মনরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহিত কামাল বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে উঠতি বয়সী মেয়েরা এবং বিত্তশালীদের সুন্দরী গৃহবধূরা ফাঁদে পরে যাচ্ছেন। একটা ছেলে সুন্দর একটা ছবি দিলে তাদের ভালো লেগে যায়, তারপর থেকেই শুরু হয় জটিলতা।’
‘আর এর থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে তিনি বাবা মায়ের সচেতন হওয়ার কথা বলেন। একইসাথে কম বয়সের ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে স্মার্টফোন দূরে রাখারও পরামর্শ দেন।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd