ডাকাতির সময় ধর্ষণই যার নেশা

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮

ডাকাতির সময় ধর্ষণই যার নেশা

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ডাকাতিকালে ধর্ষণ করাটাই ছিল তার নেশা। তবে লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের শিকার কেউ কোনোদিন অভিযোগ করেনি। অবশ্য ডাকাতি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পৃথক ধর্ষণ মামলা রয়েছে। ডাকাত নয় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সর্দার ভয়ংকর ও দুর্ধর্ষ সেই ডাকাতের নাম মোস্তাক আহমেদ (৪০)।

ডাকাত মোস্তাক আহমেদ বর্তমানে পুলিশের জালে বন্দি হয়ে হাজতবাস করছেন। কুলাউড়া থানা পুলিশ তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদকালে বুধবার এসব ভয়ংকর তথ্য দেয়। ডাকাত মোস্তাকের বাড়ি রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মৌলভীরচক গ্রামে।

Manual5 Ad Code

পুলিশ জানায়, মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাত সর্দার মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে ৬টি ডাকাতির ও একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। ডাকাতি করতে গিয়ে মোস্তাক নারী ধর্ষণ করত বলে লোকমুখে জানা যায়। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ ছিল না।

পুলিশ জানায় ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর কমলগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে ডাকাতিকালে এলাকাবাসী মোস্তাককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ওঠার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে মৌলভীবাজারের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

Manual6 Ad Code

একই বছরের ১৭ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের একটি ডাকাতির ঘটনায় করা মামলায় মোস্তাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করে।

Manual4 Ad Code

আদালত ২ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাতে কুলাউড়া থানা পুলিশকে মোস্তাকের দেয়া তথ্যমতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় পাইপগান এবং দুটি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে মোস্তাকের গ্রামের বাড়ি রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিম জানান, মোস্তাক একজন ভয়ংকর প্রকৃতির ডাকাত। ২০০৮ সালে চানখারবিল গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে করা একটি মামলা বিচারাধীন আছে। তার কারণে এলাকার মানুষও অতিষ্ঠ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটকাল থেকে ৯০ এর দশকে অর্থাৎ ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ডাকাতিতে সম্পৃক্ত। মষাজান গ্রামে তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। তবে বাড়িতে তার খুব একটা যাতায়াত নেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাক ডাকাতিতে গিয়ে প্রায়ই নারীদের ধর্ষণ করতেন বলে স্বীকার করেছেন। আগে বিষয়টি জনশ্রুতি ছিল। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় রাজনগর থানায় মোস্তাকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..