হোটেল কক্ষে ঠান্ডা মাথায় শ্বাসরোধ করে রুমিকে হত্যা করেছে মিন্টু

প্রকাশিত: ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নগরীর সোবহানীঘাটের হোটেল মেহেরপুরে আত্মহননকারী তরুণ মিন্টু দেব সম্পর্কে জানা গেছে অনেক অজানা তথ্য। প্রেমিকাকে হত্যা করার আগে সে শনিবার দিবাগত রাতে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার বাপন নামের একজনকে কুপিয়ে আহত করে। বর্তমানে বাপন চিকিৎসাধীন আছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বাপনকে আহত করার পর মিন্টু চলে আসে সিলেটে। খবর দিয়ে তার কথিত প্রেমিকা রুমি পালকেও নিয়ে আসে সিলেটে।

হোটেল কক্ষে ঠান্ডা মাথায় শ্বাসরোধ করে রুমিকে হত্যা করেছে বলে তার স্বজনরা ধারণা করছেন।

Manual4 Ad Code

জগন্নাথপুরের স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, মিন্টু রুপচাঁদা কোম্পানীর এসআরও হিসাবে কর্মরত ছিল। দরিদ্র পরিবারের সন্তান মিন্টুর বাড়ি জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ‘জগন্নাথ বাড়ি’তে। তারা দুই ভাই ও দুই বোন। এর মধ্যে এক বোন ৬/৭ বছর আগে মারা গেছে। জৈন্তাপুরের নিজপাট গ্রামে রুমি পালের বাড়ি হলেও জগন্নাথপুরে তাদের স্বজন রয়েছে। মিন্টুর সম্পর্কে রুমি মাসতুতো (খালাতো) বোন। সেখানে যাওয়া-আসার সুবাদে রুমির সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। রুমি জৈন্তাপুরের ব্র্যাক স্কুলে চাকুরি করতেন।

Manual7 Ad Code

একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি রুমি পালের বিয়ে ঠিক হয়। প্রেমিক হিসাবে মিন্টু এটি মেনে নিতে পারেনি। রোববার দুপুরে রুমিকে সিলেটে এনে রাতে হোটেল কক্ষে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
হোটেল সূত্র জানায়, মিন্টু মিয়া ও রুমি বেগম নামে তারা মেহেরপুর হোটেলের ২০৬ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেয়। রোববার রাত ১০টায় পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।

Manual5 Ad Code

কতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন জানান, লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। তারা দুজন আত্মগোপনে এসে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে জানান ওসি। বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন বলে জানান ওসি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..