গোয়াইনঘাটে ভাবিকে পিটিয়ে জখম করলো ২ দেবর

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক : গোয়াইনঘাট উপজেলায় পারিবারিক কলোহের জের ধরে দুই দেবর মিলে আপন ভাবিকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ১১ জানুয়ারি উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ২য় খন্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী গুসাইনপুর গ্রামের নূর উদ্দীন এর স্ত্রী গৃহবধূ নির্যাতিতা নাজমা বেগম (৩৩) জানান, তার স্বামী নূর উদ্দীন (৪০) দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করছিলেন এবং নাজমা তার সন্তান ও দুই দেবরকে সাথে নিয়ে নূর উদ্দীনের পরিবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজমার স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে টাকা পয়সা লেনদেন ও জমি জামা ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু নাজমার দুই দেবর টাকা পয়সার সঠিকভাবে খরচ না করে তারা টাকাগুলো ভিন্ন পথে ব্যয় করে। ক্রয়কিত জমি ও তাদের নামে দলীল করে অভিযুক্ত সাইদুর ও সাব্বির। অবশেষে নাজামার স্বামী প্রবাস থেকে দেশে ফিরে টাকা পয়সার হিসাব ও জমিজমার ভাগ ভাটোয়ারা চান। কিন্তুু তারা তাদের বড় ভাই নূর উদ্দীনকে জায়গাজমির ভাগ ও টাকা পয়সার হিসেব না দিয়ে বড় ভাই নূর উদ্দীন ও তার স্ত্রী নাজমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন রকম হুমকি ধমকি দেয়। পরে নূর উদ্দীন এলাকার চেয়ারম্যানসহ সালিশ ব্যাক্তিদের সরনাপন্ন হলে তারও আপ্রাণ চেষ্টা করে সমাধান দিতে ব্যার্থ হন।

সর্বশেষ নির্যাতিত গৃহবধূ নাজমার ছেলে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী আব্দুল্লাহ তার চাচাকে ১৪ হাজার টাকা ঋন দেয়। গত ১১ জানুয়ারি ভাতিজা আব্দুল্লাহ তার পাওনা টাকা চাইতে চাচার বাড়িতে গেলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহকে বেধড়ক মারপিট করে। আব্দুল্লার চিৎকার শুনে তার মা নাজমা বেগম ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে তারা তাদের বড় ভাই নূর উদ্দীন এর স্ত্রী নাজমা বেগমকেও বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে পার্শবর্তী লোকজন তাদের মা ছেলেকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

কিছুটা সুস্থ হয়ে তারা বাড়ী ফিরলে তাদের বাড়ীতে এসে অভিযুক্ত দেবর সাইদুর ও সাব্বির নূর উদ্দীন এর বাড়ীতে ডুকে ঘর দরজা ভাংচুর করে এবং স্ব-পরিবারে হত্যা করার হুমকি দিয়ে যায়।

সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারি নাজমা বেগম বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে আসামীরা হলেন- উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ২য় খন্ড গ্রামের গৃহবধূর দেবর মৃত সুনাফর আলীর ছেলে সাইদুর রহমান (৩২) সাব্বির আহমদ (৩৫) গুসাইনপুর গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে আব্দুল খালিক (৩৫)।

গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..