সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলবাদী গোষ্টীর অব্যাহত অত্যাচার ও নিপীরণের কারণে তছনছ হয়ে পড়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের খমিয়া (পাতন) গ্রামের সংখ্যালঘু একটি হিন্দু পরিবার। মৌলবাদী জামাত নেতা ও তার ভাতিজা যুবলীগ নেতা হওয়ার কারণে সব দেখেও মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে পারছে না নিপিড়ীতের পরিবার। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় পরিবারের যুবতী মেয়েকে অপহরণ করে নির্যাতনের ফলে বর্তমানে ভুক্তভোগী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর বাবার মুখ থেকে জানা যায়, উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের খমিয়া (পাতন) গ্রামে র্সাবজনীন শ্রী শ্রী র্দূগা মন্দিরে শারদীয় র্দূগা পূজার আয়োজন করা হয়। গত সোমবার (১১ অক্টোবর) শুরু হওয়া শারদীয় র্দূগা পূজার তৃতীয় দিন বুধবার (১৩ অক্টোবর) মৌলবাদী জামাত নেতা হাজী লাভলু আহমেদ ও তার ভাতিজা যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান উজ্জ্বলের নেতৃত্বে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে ওই পূজা মণ্ডপে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় পূজা মন্ডপ থেকে রবীন্দ্র কুমার দাশের যুবতী মেয়ে জলি রানী দাশ (২৫)কে জোরপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল ও তার সঙ্গীরা জলি রানী দাশের উপর টানা ৩ দিন জোর পূর্বক শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে মৌলবাদী জামাত নেতা হাজী লাভলু আহমেদ জলি রানী দাশকে মুক্তি দিতে তার পিতার নিকট মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
বিষয়টি রবীন্দ্র কুমার দাশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেটের সভাপতিকে নিয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলেও বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও সন্ত্রাসী বাহিনীর কবল থেকে জলিকে উদ্ধার করতে পারেনি। তখন তার পিতা রবীন্দ্র কুমার দাশ দিশেহারা হয়ে মুক্তপণের নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও তার স্ত্রীর র্স্বণালঙ্কার নিয়ে উজ্জলের মৌলবাদী চাচা হাজী লাভলু আহমেদের কাছে গেলে তিনি জলিকে মুক্তির আশ্বাস দিয়ে জোর পূর্বক ৩০০ টাকার ষ্টাম্প পেপারে সই করিয়ে নেয়। ৩দিন অমানবিক নির্যাতনের পর উজ্জ্বল ও তার সঙ্গীরা আহত অবস্থায় গ্রামের রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে যায়। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd