সিলেটে পতিতাবৃত্তির দায়ে ৯ দিনে ৩৭ নারী-পুরুষ আটক : হোটেল মালিকরা অধরা

প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৪

সিলেটে পতিতাবৃত্তির দায়ে ৯ দিনে ৩৭ নারী-পুরুষ আটক : হোটেল মালিকরা অধরা

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের আবাসিক হোটেলগুলোতে গড়ে উঠেছে ‘মিনি পতিতালয়’। পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালালেও এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না নগরজুড়ে। উঠতি বয়সী তরুণী ও নারীদের দিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনার দায়ে বেশীর ভাগ হোটেলে অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোটেল তরুণ-তরুণীসহ হোটেল ম্যানেজারকে আটক করলেও মালিকরা থেকে যাচ্ছেন অধরা। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, হোটেল মালিকদের আইনের আওতায় না আনলে এমন কর্মকাণ্ড থামবে না। কিন্তু এখনও ধরাছোয়ার বাহিরে সিলেটের পতিতা দালালদের মূলহোতা উত্তর সুরমার মেঘনা আবাসিক হোটেলের মালিক সুন্দর আলী।

Manual7 Ad Code

নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা সুরমা মার্কেটের সামন দিয়ে ভিআইপিসহ সকল শ্রেণী পেশার কর্মকর্তা যাতায়াত করেন। সেই সুরমা মার্কেটে গড়ে উঠেছে সুন্দর আলীর মেঘনা নামক বিশাল পতিতালয়। মাঝে-মধ্যে মহানগর গোয়েন্ধা পুলিশের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালালে শত শত লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে মজা নেন। এমনকি মেয়েরা বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার উপর দিয়ে দৌড়া-দৌড়ি করেন তখন মানুষজন স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। অভিযানে দুই একজন আটক হলেও সাথে সাথে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। কিন্ত মূলহোতা সুন্দর আলী রয়ে যায় ধরাছোয়ার বাহিরে। যার ফলে শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় তার অসমাজিকতার ব্যবসা। তাকে আটক ননা করা পর্যন্ত এই অসামাজিকতা বন্ধ করা সম্ভব না।

Manual2 Ad Code

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরের কদমতলী সাকিনস্থ হোটেল সাগর এন্ড রেস্ট হাউজ, তালতলার হোটেল সুফিয়ায় (আবাসিক), দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার কয়েস আবাসিক হোটেল, ওসমানী হাসপাতাল এলাকার হোটেল বাধন আবাসিক, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তিতাস অবাসিক হোটেলসহ অসংখ্য হোটেলে নিয়মিত চলে অবৈধ অসামাজিক কর্মকাণ্ড। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এসব হোটেল থেকে গ্রেফতারও হচ্ছেন নারী-পুরুষ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব হোটেলের মালিকরা থেকে যাচ্ছেন আড়ালে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বশীলরা বলছেন, নগরীর যেসব হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে সেখান থেকে জড়িতদের আটক করা হচ্ছে। পাশাপাশি হোটেল মালিকদের সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় ব্যবস্থা নেওয়াও হচ্ছে। হোটেলে অসামাজিক কাজ বন্ধে পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে।

Manual8 Ad Code

সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। আটককৃতদের প্রত্যাককে মামলা দায়ের করে আদালতেও প্রেরণ করা হচ্ছে। আর হোটেল মালিকদের কড়াভাবে সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে। তারা এসব কাজ বন্ধ না করলে প্রয়োজনে হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।

Manual1 Ad Code

গত ১৫ দিনের ব্যবধানে নগরীর বিভিন্ন হোটেলে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে অন্তত ৩৭ জন নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতদের বেশীরভাগ ১৮ থেকে ২৬ বছরের। সর্বশেষ রবিবার (৩ মার্চ) রাত নয়টার দিকে মহানগরের কদমতলী সাকিনস্থ হোটেল সাগর এন্ড রেস্ট হাউজ থেকে ১২ তরুণ-তরুণীকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে শনিবার (২মার্চ) রাত ৮ টার দিকে সিলেট মহানগরের তালতলার হোটেল সুফিয়ায় (আবাসিক) অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে ৭ যুবক-যুবতীকে আটক করে সিলেট মহানগর ডিবি পুলিশ।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অসামাজিক কর্মকাণ্ড রোধে পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়ে কাজ করছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও অভিযান পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে নগরীর সবগুলো হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যাতে কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত না থাকেন। এরপরও বন্ধ না করায় আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এসব হোটেলের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..