সালুটিকর বাজারে জমে উঠেনি মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রির হাট

প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৩

সালুটিকর বাজারে জমে উঠেনি মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রির হাট

Manual4 Ad Code

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট :: বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়ার সাথে সাথে গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রির ধূম পড়ে। এ সময় দেশীয় বাঁশ-বেত দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরির কারিগররা এবং বাড়ির মহিলারা অবসরে এসব উপকরণ তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এলাকাভিক্তিক এসব দেশীয় উপকরণের নাম ভিন্ন হয়ে থাকে। উপজেলার নিম্ন আয়ের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা এসব তৈরির মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন ও জিবিকা নির্বাহ করে থাকেন।পেশাদার ও মৌসুমী জেলেরা এসব দিয়ে মাছ ধরে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজার বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন।
বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বাঁশের তৈরি কুছুইন নামের মাছ ধরার ফাঁদ। এলাকা ভেদে এই যন্ত্রটিকে কুইন বলা হয়। শামুক ভেঙ্গে যন্ত্রের ভিতরে রেখে পানির মধ্যে এই যন্ত্রটি রেখে দেওয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এই ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলের মাছ ধরার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম কুছুইন বা (কুইন)।

Manual5 Ad Code

সরেজমিনে গত শনিবার দুপুরে উপজেলার প্রধান হাট সালুটিকর বাজারে দেখা যায়, মাছ ধরার কয়েক প্রকার এসব উপকরণ নিয়ে বসে আছে কারিগরেরা। পেশাদার ও সৌখিন মাছ শিকারীদের আনাগোনায় জমে উঠে এই বাজার। তবে এই বছর এখনো জমে উঠছে না মাছ ধরার এইসব সামগ্রী বিক্রির বাজার।
কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা সকাল ৯ টা থেকে তাদের এই যন্ত্র নিয়ে অপেক্ষায় আছেন,দুপুর গড়িয়ে গেলেও এখনো ক্রেতার দেখা মিলেনি।দুই এক জন ক্রেতা আসলেও দরকষাকষির মধ্যে সীমাবদ্ধ।কারণ হিসাবে জানতে চাইলে তারা বলেন পানিতে দেশীয় মাছ আসে নাই।পানিতে মাছের সংখ্যা কম থাকায় পাইকারি ক্রেতাদের সংখ্যা বাজারে কম।তারা আরো বলেন,অন্যান্য বছর এর আগেই এসব যন্ত্র বিক্রির ধূম পড়ে যায়। এছাড়াও তারা বলেন,বিভিন্ন জাতের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ও কারেন্ট জালের কারণে পানিতে দেশীয় মাছের সংখ্যা কমে গেছে।তাছাড়া বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন ধরনের মাছ মারার যন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার ফলে ক্রেতাদের আর এইসব যন্ত্রের প্রতি তেমন একটা আকর্ষণ নেই। ‘আগের মতো আর বাঁশের উপকরণের বিক্রি নাই। এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে এবং আগের চেয়ে এসবে লাভ কমে গেছে শুধু বেকার সময় ও জীবিকা নির্বাহের জন্য অনেকেই এখনও এসব উপকরণ তৈরী ও বিক্রি করে।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..