সিলেট ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৩
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউপির পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে থানায় মামলা রেকর্ড। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে স্কুলছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগটি আমলে নিয়ে থানায় মামলা নং- ১৪, রেকর্ডভূক্ত করা হয়েছে। মামলায় একমাত্র আসামি উপজেলার শ্রীপুর দঃ ইউনিয়নে মাড়ালা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র রেজাউল মিয়া (২৬)।
থানায় মামলা রেকর্ডভূক্ত হওয়ার খবর পেয়ে পালিয়েছে ধর্ষক রেজাউল। তবে ধর্ষকের চাচাতো ভাই মিয়া হোসেন আসামিকে রক্ষা করতে একাধিক স্থানে তদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন।
মামলায় এজহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাড়ালা গ্রামের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। গত সপ্তাহে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে তার বাবা মেয়েকে সিলেট নিয়ে ডাক্তার দেখান। ডাক্তার দেখে কিছু মেডিকেল টেষ্ট করাতে বলেন, উক্ত টেষ্ট করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের সরনাপন্ন হন। ডাক্তার বলেন আপনার মেয়ে ৫ মাসের অন্তসত্তা। তখন মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আনুমানিক ১০/০১/২০২৩ ইং তারিখে বিকেল বেলা বসত বাড়ির দক্ষিণ দিকে আহাম্মক খালি ফিসারিতে মাছ দেখতে যায়। মাছ দেখে বাড়িতে ফেরার পথে রেজাউল মিয়া আমার মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে বসত ঘরের দক্ষিণ দিকে করছ গাছের বাগানের ভিতর নিয়ে জোর পুর্বকভাবে ধর্ষন করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে স্কুলছাত্রী কে প্রাননাশের হুমকি দেয় রেজাউল।
স্কুলছাত্রীটির বাবা কান্না জরিত কন্ঠে বলেন রেজাউলের ভাই একজন প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার মিয়া হুসেনকে বিষটি অবগত করলে রেজাউল মিয়া আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমার মেয়ের সাথে অন্যায়কারীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে থানায় মামলা রেকর্ডভূক্ত করা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd