কাজীর জালিয়াতীতে স্ত্রী ‘বদল’ করে যুক্তরাজ্যে জগন্নাথপুরের চুনু মিয়া

প্রকাশিত: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মে ৭, ২০২৩

কাজীর জালিয়াতীতে স্ত্রী ‘বদল’ করে যুক্তরাজ্যে জগন্নাথপুরের চুনু মিয়া

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিয়ের কাবিন জালিয়াতী করে নিজের স্ত্রীর নাম বদল করে অন্য মেয়ের নাম বসিয়ে ইউকে’তে চলে গেলেন চুনু মিয়া নামের এক যুবক।

Manual2 Ad Code

এ ঘটনা নিয়ে উপজেলা জুড়ে তুলপার সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Manual1 Ad Code

শনিবার (৬ মে) সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পৌরসদরের বাড়ী জগন্নাথপুর গ্রামের সাজিদের ছেলে চুনু মিয়ার সাথে কেশবপুর গ্রামের মৃত আরিফ উল্লাহের মেয়ে শাহনাজ পারভিনের সাথে ২৩ জানুয়ারী ২০২২ সালে বিবাহ হয়েছিল। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে একটি কণ্যা শিশু জন্ম গ্রহন করে।

বিবাহের পরে স্ত্রীসহ ইউকে যাওয়ার জন্য শাহনাজ পারভিনকে ওআইটিসিতে ভর্তি করে কৌশলে তার রিজাল্ট খারাপ করে বিকল্প চিন্তার মাধ্যমে পৌর সদরের ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের কাজীকে বড় অংকের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে শাহনাজ পারভিনের নামে উপরে অন্য মেয়ের নাম বসিয়ে কাবিন জালিয়াতী করে ইউকে চলে যায়।

প্রবাসের যাওয়ার পর শাহনাজ পারভিনের লোকজন কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহের কাবিন নামা চাইলে কাজী দিতে অস্বীকার করে। পরে অনেক চেষ্টার পর শাহনাজ পারভিনের লোকজনকে কাবিনের বই দেখাতে সম্মত হয়।

কাবিন জালিয়াতীর বিষয়টি সবার আলোচনায় আসার পর চুনু মিয়ার লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। শাহনাজ পারভিনের পরিবারের লোকজন কাজী সাথে যোগাযোগ করলে কাবিন সংশোধন করে দিবে বলে আশ্বাস প্রদান করে।

এর মধ্যে প্রায় ২মাস চলে যায় কাবিন সংশোধন করা হয় নাই। পরে পৌরসভার কাউন্সিলার, মেয়র সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো পর কোন সমাধান হয় নাই।

Manual8 Ad Code

নিরুপায় হয়ে শাহনাজ পারভিন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে কাজীসহ ১৫জনকে আসামী করে সি,আর, ৩৮/২৩ইং (জগঃ) মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে পিবিআই এর কাছে তদান্তধীন রয়েছে।

Manual2 Ad Code

এ ব্যাপারে শাহনাজ পারভিন এ প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের ওয়ার্ডের কাজী মঈনুর ইসলাম পারভেজ ও কাজীর সহযোগী কুতুব উদ্দিনের এর মাধ্যমে সুলেমান আহমদের সহযোগিতায় কাবিন জালিয়াতী করে আমার স্বামী ইউকে চলে যান।

আমার সাথে নাটক করে পেটের সন্তান ডেলিভারি হওয়ার দিন জোর করে আমাকে দিয়ে অআইটিসির পরিক্ষা দেওয়ায় যাতে আমার পরিক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয়।

আমার অজান্তে আমার স্বামী এসব করেছিল। আমার স্বামী ইউকে যাওয়ার পর আমার পরিবার বহু চেষ্টা করেছে বিষয়টি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সমাধান করে কাবিন নামা ঠিক করে আমাকে স্ত্রী হিসেবে ও আমার মেয়েকে সন্তান হিসেবে আইন আনুক ভাবে স্বীকৃতি দিতে কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে অবশেষে আমি বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করি। মামলা তন্তকালে আমাদের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেতেছে।

এ নিয়ে আমার পরিবার ভয়ে মধ্যে আছি, যে কোন সময় আমাদের উপর হামলা হতে পারে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

মামলার আসামী কাজীর সহযোগী কুতুব উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ কাজটি আমাদের অফিসের সহযোগি সুলেমান আহমদ করেছে। আমরা বিষয়টি জানতাম পরে পরে জানতে পারি।

এ ব্যাপারে মামলার আসামী কাজী অফিসের সহযোগী সুলেমান আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন আপনারা কোথায় আছেন বলুন, দেখা করতে চাই।

এ ব্যাপারে জানতে মামলার আসামী কাজী মঈনুর ইসলাম পারভেজ এর সাথে মুঠোফোনে বার বার ফোন দেওয়ার পর ফোন রিসিভ না করায় আলাপ করা সম্ভব হয়নি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..