কোম্পানীগঞ্জে আশ্রয়ণে বরাদ্দের ঘর ভাড়া !

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জে আশ্রয়ণে বরাদ্দের ঘর ভাড়া !

Manual3 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : আজমল আলীর বাড়িঘর-জমিজমা সবই আছে। তারপরও তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পেয়েছেন। তাঁর ভাগনে জামাল আহমদ কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও ওষুধ রাখার জন্য ব্যবহার করেন ঘরটি।
আব্দুর রহিম-সরুফা বেগম দম্পতির বাড়িঘর ও জায়গা-জমি কিছুই নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকেন একই প্রকল্পে তাজিরুনের ঘরে। অনেকের কাছে ধরনা দিয়েও মেলেনি মাথা গোঁজার ঠাঁই। তাজিরুন ঘর পাওয়ার ১০-১২ দিন পর থেকে ভাইয়ের বাড়িতে থাকেন।

শুধু আজমল আলী আর তাজিরুনই নন; ২৮টি ঘরের মধ্যে অর্ধেক পরিবার এখানে বসবাস করেন না। এর মধ্যে সুবিধা নিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে ১৪টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ চিত্র সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুজিবনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পের। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

Manual6 Ad Code

২০২১ সালে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চন্দ্রনগরের দক্ষিণ পাশে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২৮টি ঘর তৈরি করে গড়ে তোলা হয় মুজিবনগর আবাসন।

সরেজমিনে জানা গেছে, ঘর বরাদ্দ পাওয়া অনেকের বাড়িঘর ও জায়গা-সম্পত্তি রয়েছে। তাঁরা মুজিবনগরে ঘর বরাদ্দ নিলেও থাকেন নিজ গ্রামের বাড়িতে। সরকারের পক্ষ থেকে কেউ পরিদর্শনে গেলে তাঁরা আসেন।

পূর্ব ইসলামপুর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সিরাজুল ইসলাম চেরাগ আলী বলেন, আজমল আলী, মঈনুদ্দীন, লোকমান, হারিছ মিয়া, আলকাছ মিয়াদের বাড়িঘর ও জায়গা-সম্পত্তি রয়েছে। সুবিধা নিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাঁদের ঘর দেওয়া হয়েছে। কিছু মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গিয়েও থাকে।

Manual3 Ad Code

এদিকে দেখা গেছে, পাথর ও রড ছাড়া নিম্নমানের কাজ করায় অধিকাংশ ঘরের পিলার ও দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি পিলার ভেঙে গেছে। দরজা-জানালা খুলে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এসব ঘরে বাস করছে অসহায় ১৪টি পরিবার।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে মুজিবনগর বাস্তবায়ন করেন তৎকালীন ইউএনও সুমন আচার্য। তিনিই ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান। অন্য সদস্যরা হলেন পূর্ব ইসলামপুর ইউপির চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, এসি ল্যান্ড এরশাদ মিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কান্তি দাস।

বর্তমানে মরিশাস বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয়প্রধান (সাবেক ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, যাঁদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা দিয়েছেন। বাড়িঘর ও জায়গা-সম্পত্তি আছে, এমন কারও ঘর পাওয়ার কথা নয়।

ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম চাপ প্রয়োগ করে এই জায়গায় ঘর করিয়েছেন। তারপরও বলেছিলাম চার ফুট মাটি দেওয়ার জন্য, সেটাও করতে দেওয়া হয়নি। তিনি কালীবাড়ির কিছু লোকের নামে ঘর বরাদ্দের তালিকা দিয়েছেন। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন।’
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ।

Manual2 Ad Code

বর্তমান ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা টুকটাক কিছু মেরামত করে দিয়েছি। পুরো মেরামত ও উঁচু করতে বড় বাজেট লাগবে। বরাদ্দের জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি। আমি যোগদানের আগে এ ঘরগুলো নির্মাণ ও বিতরণ করা হয়েছে।’ সূত্র-আজকের পত্রিকা

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2023
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..