আজমিরীগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিদ্যালয়ের জায়গায় ঘর নির্মাণ

প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

আজমিরীগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিদ্যালয়ের জায়গায় ঘর নির্মাণ

Manual1 Ad Code

আজমিরীগঞ্জ সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পৌরসভার সরাফ নগরে বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় ঘর নির্মাণ অভিযোগ উঠেছে সরাফ নগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ক্ষেত্র মোহন দাসের পুত্র কুমোদ চন্দ্র দাস এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে । প্রশাসনের জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এহেন কান্ডে এলাকায় জন সাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

Manual6 Ad Code

স্থানীয় ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানাযায়, বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্টিত করেন প্রয়াত জমিদার কালী প্রসন্ন চৌধুরী। পরবর্তীতে উনার স্ত্রী সন্তানেরা ৪ টি দাগে ৩১ শতক ভুমি বিদ্যালয়টির নামে দানপত্র করে দেন । যার মধ্যে ১৫ শতকে বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বাকি ১৬ শতক ভুমিতে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার সহ পতিত ভুমি রয়েছে।

সেই পতিত ভুমি দখলে নিতে একই গ্রামের বাসিন্দা কুমোদ চন্দ্র দাস কাঁচা ঘর নির্মান করে বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি সেই জায়গা এক রকম জোর করেই পুরোপুরি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন কুমোদ চন্দ্র দাস ও তার ছেলেরা।

Manual8 Ad Code

উপায়ান্তর না পেয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা জাহান রুহি বাদী হয়ে কুমোদ দাস এবং তার দুই ছেলে সবুজ দাস ও টনি দাসের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমী ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বিষয়টি শুনানির দিন ধার্য় করেন। এবং উক্ত বিষয়ে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে সহকারি কমিশনার ভুমি শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করেন। একই সাথে উক্ত জায়গায় উভয় পক্ষকে কাজ না করা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।

Manual3 Ad Code

কিন্তু নির্বাহী কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় শুক্রবার আবারো ঘর নির্মান শুরু করেন কুমোদ চন্দ্র দাস।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আজমিরীগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জীবন চন্দ্র চন্দ জানান- দীর্ঘদিন যাবত উনারা জায়গাটি জোরপুর্বক দখলে নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন , শেষ পর্যন্ত আমরা যথাযত কাগজ পত্রাদি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু কুমোদ দাস শুক্রবার সকাল থেকে ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবার ঘর নির্মাণ শুরু করছেন।

কুমোদ চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনাকে পাওয়া যায়নি ।উনার পুত্র টনি দাসের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার ভুমি শফিকুল ইসলামের মুটোফোনে একাধিক বার কল ও এসএমএস দেয়া হলে তিনি কোন উত্তর দেননি ।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2022
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..