সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট :: গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা। সিলেট থেকে গোয়াইনঘাট সদরে যেতে দুটি রাস্তা রয়েছে। একটি সিলেট থেকে সালুটিকর হয়ে গোয়াইনঘাট, অপরটি সিলেট থেকে তামাবিল সড়কে সারিঘাট হয়ে গোয়াইনঘাট। দুটি সড়কের মধ্যে সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তার অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এই রাস্তা দিয়ে উপজেলার প্রায় সিংহভাগ মানুষের যাতায়াত, এমনকি উপজেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বার বার বন্যার কবলে পড়ে রাস্তার সংস্কারকাজ না হওয়ায় রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদাপানি জমে যানবাহন ও মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তা চালু হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তাটিও জনদুর্ভোগের একটি উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে সিলেট থেকে গোয়াইনঘাটে সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তায় প্রতিদিন যাতায়াতকারী যাত্রীরা তাদের দুর্ভোগের কথা জানায়। প্রতিবছর বন্যায় রাস্তা ডুবে যায়। ফলে রাস্তা ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ভাঙা অংশ মেরামত করা হয় না। দিনে দিনে রাস্তার এ করুণ দশা হয়েছে।
সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তায় দেখা গেছে, দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ও ব্রীজের মুখে ভাঙাচোরা। রাস্তার মাঝখানে ও দুই পাশে বড় বড় গর্ত। কালভার্ট আর ব্রিজগুলো পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। এ রাস্তা দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করে। গোয়াইনঘাট রাস্তার বেশ কয়েকটি ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন হচ্ছে পশ্চিম জাফলং, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া। পিরিজপুর-সোনরহাট, গোয়াইনঘাট রাধানগর, হাতিরপাড়া ডৌবাড়ি ভায়া মানিকগঞ্জ, বঙ্গবীর- হাদারপার, লাফনাউট-বাঘের সড়কসহ গোয়াইনঘাট সালুটিকর সড়কের বেহাল দশা। বিশেষ করে সাকের পেকের খাল ও দামারীপার নামক স্থানে বন্যার ফলে সৃেষ্ট ভাঙ্গনে জনদুর্ভোগের সীমা নেই, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যানজটে। যানজটে এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিস আদালত, কোট কাচারি, রোগীদের নিয়ে নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছেন বাধাগ্রস্ত। এলাকাবাসীর যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগসহ দ্বিগুন ভাড়া দিতে হচ্ছে।
Sharing is caring!