সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেও রক্ষা পায়নি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি অর্জুন লস্কর (২৫)। গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তির জালে ধরা পড়ে সে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার সকালে হবিগঞ্জের সীমান্তবর্তী মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ধর্ষক অর্জুন এমসি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ধর্ষণের ঘটনার পর এমসি কলেজ ছাত্রাবাস থেকে পালিয়ে জকিগঞ্জে নিজের বাড়িতে যান অর্জুন। পরের দিন বিকেলে সেখান থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। তবে আত্মগোপনে থেকে তিনি জকিগঞ্জের বাড়িতে এক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। সেই ভাইয়ের সঙ্গে একাধিকার তার যোগাযোগ করার তথ্য আসে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। সেই তথ্য মতে, ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মাধবপুরের মনতলা এলাকায় পৌঁছায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অর্জুনের অবস্থান শনাক্ত করে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনতলা গ্রামে অর্জুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অর্জুনকে গ্রেফতারের বিষয়টি মাধবপুর থানাকে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে শুধু অবহিত করা হয়েছে। পুরো অভিযানটি পরিচালনা করেছে গোয়েন্দারা। অর্জুনকে গ্রেফতারের পর সেখান থেকে সরাসরি সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয়।’ এদিকে রোববার বিকেলে সিলেট জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্তব্যরত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অর্জুন লস্করকে সিলেট এনে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এর আগে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে (২৮) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত হয়ে ভারতে পালানোর সময় রোববার ভোর ৬টার দিকে গ্রেফতার করা হয়।
সুনামগঞ্জের ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভোর ৬টার দিকে সাইফুরকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সাইফুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ছাতক থানা থেকে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানা-পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পাঁচ-ছয়জন যুবক জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন তারা। পরে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে ওই হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি আছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd