জৈন্তাপুর উপজেলায় অতিবৃষ্টি পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০

জৈন্তাপুর উপজেলায় অতিবৃষ্টি  পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় অসময়ের অতিবৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত, শত শত পরিবার পানিবন্ধি। যোগাযোগ ব্যবসস্থা বিচ্ছিন্ন, কৃষি জমি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় হুমকীর মুখে আগামীর সম্ভাবনা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে রোগ-বালাই সহ স্বাস্থ্য ঝুকির আশংকা রয়েছে। পানির নিচে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সাম্প্রতিক সময়ের প্রভল বৃষ্টিপাতে স্থানীয় নদ-নদীর পানি ত্রুমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের সব-কটি গ্রামের মানুষ সম্পূর্ণরূপে পানিবন্ধি। ২৬ সেপ্টেম্বর সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ডুলটির পাড়, শেওলারটুক, বাওন হাওড়, চাতলার পাড়, খারুবিল, বাউরভাগ, কাটাখাল, লামনীগ্রাম, মুক্তাপুর, বিরাইমারা, লক্ষীপুর, আমবাড়ী, মোয়াখাই, নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, হর্ণি, ময়নাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলি সহ প্রায় ১৫/২০ টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমন ধান, আসন্ন মৌসুমের হরেক রকম শাক-সবজি। বিভিন্ন জাতের গবাদি পশু ঘরে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে, খাদ্য সংকটে এই গবাদি পশুগুলোর প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।

তাছাড়া অনেক পরিবার আছে যারা দৈনিক শ্রমের সাথে সম্পৃক্ত এই শ্রেণীর মানুষগুলো অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। এসময় অন্ততপক্ষে এই পরিবারগুলোর মাঝে কিছুটা হলেও শুকনো খাবার বিতরন করা প্রয়োজন।

এদিকে পানিবন্ধি গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। যে সকল বাড়ীতে টিউবওয়ের অক্ষত আছে সেই বাড়ী থেকে দূর-দূরান্তের বা অন্য গ্রাম থেকে এসে খাবার পানি সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাও আবার এক বাড়ী থেকে অন্য বাড়ী যাওয়ার বাহন হচ্ছে ছোট ছোট নৌকা।

এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বর্তমানে তারা বড়ই অসহায়, তাই জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে তারা দাবী রাখছেন ত্রাণ সামগ্রী যদি আমাদের ভাগ্যে নাও ঝুটে, তবে স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে অন্তত পানি বিশুদ্ধ করণের ব্যবস্থা করে দেন। আর এতে করে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত পানি পান করে বেচে থাকতে পারব।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে জৈন্তাপুর উপজেলায় ১০ হাজার ৯ শ ৫৫ একর জমিতে দেশীয় ও উন্নত জাতের ধানের চারা রুপন করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ধানরে চারা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উন্নত ধানের চারা ১০ থেকে ১২ দিন পানির নিচে থাকলেও দেশীয় জাতের ধানের চারা পচন দেখা দিতে পারে। বৃষ্টি কমে গেলে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কম হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..