সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে আসছে বুঙ্গার মাল। আর এই সকল মালের নেতৃত্ব দিচ্ছে লালাখাল কাফরাঙ্গী গ্রামের বাসিন্ধা সাদ্দাম হোসেন। সে দীর্ঘদিন থেকে ভারত এবং বালাদেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের সাথে কাজ করছে। বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ এর সাথে সাদ্দাম হোসেনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিএসএফ এর প্রধান লাইনম্যান হিসাবে কাজ করছে সাদ্দাম। ভারত-বাংলাদেশে কোন ধরণের চোরাই মাল আসা-যাওয়া করতে হলে সাদ্দামকে প্রয়োজন হয়। সাদ্দাম সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনকে যুবতী মেয়েদের দিয়ে ম্যানেজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। যার ফলে সীমান্ত এলাকা চলছে তারই দাপটে।
জানা গেছে, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লালাখাল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশে দৈনিক কোটি কোটি টাকার চোরাই পণ্য পাচার করা হচ্ছে। আর এই সকল চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে সাদ্দাম। বিনিময় সে দৈনিক লাখ লাখ টাকা বুঙ্গাড়ীদের কাছ থেকে আদায় করছে। যদি কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে সাদ্দাম বিজিবি অথবা বিএসএফকে দিয়ে চোরাই মাল অাটক করায়। লালাখাল সীমান্ত বর্তমানে সাদ্দামের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশে সাদ্দামের নেটওয়ার্ক। লালাখাল সীমান্তে তারই রাজত্ব। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে এখানকার বিজিবি সদস্যরা। বিএসএফের সাথে সাদ্দামের এত গভীরতা থাকার পরও বিজিবি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাছাড়া সদ্দামের নেতৃত্বে পাচার হওয়া চোরাই পণ্য আটক করছে না বিজিবি। ভারতে বেপরোয়া ভাবে আসা-যাওয়া করছে সদ্দাম। সীমান্ত আইন বলতে তার কাছে কিছুই নেই। সে কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েদের ব্যবহার করে বিএসএফ ও বিজিবির সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরী করছে।
দেশের শত্রু চোরাকারবারীদের সরদার বিজিবি-বিএসএফের অবৈধ টাকার লাইনম্যান সাদ্দাম হোসেন ও লালাখাল সীমান্তের চোরাচালান বন্ধে প্রশাসনের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন জৈন্তাপুর উপজেলার সচেতন মহল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd