সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: প্রমের টানে সংসার ছেড়ে এসে এবার বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন হ্যাপি নামের এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে।
জানা যায় গত ৭ বছর পূর্বে বাজিতপুর গ্রামের আবু তাহিরের ছেলে সাথে ইসলামি শরিয়াহ মতে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর মেয়ে হ্যাপি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের বছর খানেক পরে তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই সন্তানের বয়স ৬ বছর। এর মাঝে গত দেড় বছর যাবৎ একই গ্রামের (বাজিপতপুর) মনির উদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমানের সাথে হ্যাপির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের গোপন সম্পর্কের বিষয়ে পরিবারের লোকজনের মধ্যে জানা জানি হয়ে গেলে গত দেড় বছর যাবৎ হ্যাপি তার বাবার বাড়ি জালালপুরে গিয়ে আটকা পড়েন।
এরই মধ্যে গত রোববার দুপুরে জালালপুরে হ্যাপির বাবার বাড়ি থেকে আতিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে করার আশায় সুমানগঞ্জে যান হ্যাপি। কিন্তু সুনামগঞ্জে বিয়ের কাজ সম্পন্ন না করে হ্যাপিকে সু-কৌশলে বাড়িতে নিয়ে আসেন আতিক। এরপর আতিকের পরিবারের লোকজন তাদের প্রেম সম্পর্ক মেনে না নিয়ে আতিককে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেন। বর্তমানে (সোমবার) পর্যন্ত হ্যাপি আতিকের আশায় তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
হ্যাপি বলেন, ‘আমি আতিকের জন্য সংসার ছাড়ছি, এখন আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই। আমি তারে ছাড়া বাঁচব না।’
এ ব্যাপার আতিকের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বিয়ের বয়স এখনও হয় নাই। অযথা আমার ভাইকে ও আমাদের পরিবারের লোকজনদের হয়রানি করার জন্য বিয়ের দাবি করছে। এরই মধ্যে জালালপুর গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্যের মাধ্যমে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
হ্যাপী বেগমের (স্বামীর) বড় ভাই আব্দুল কাদির জানান, আমার ছোট ভাইয়ের সাথে গত ৭ বছর আগে হ্যাপির বিয়ে হয়। তাদের ৬ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। গত দুই বছর যাবত আমার ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করে আমাদের গ্রামের আতিক নামের এক ছেলের সাথে অবৈধ প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে হ্যাপি। এ নিয়ে প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। গত দেড় বছর যাবৎ হ্যাপি বাবার বাড়িতে আটক আছেন। জানতে পারলাম রবিবারে সে আতিকের বাড়িতে আসছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd