জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট সীমান্ত চেরাকারবারীর নিয়ন্ত্রনে, সংশ্লিষ্ট বাহিনী নিরব

প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৯

জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট সীমান্ত চেরাকারবারীর নিয়ন্ত্রনে, সংশ্লিষ্ট বাহিনী নিরব

Manual7 Ad Code

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচাঁর হচ্ছে খাদ্যশষ্য মটরশুটি, মশুরী ডাইল, চানা ডাইল বাংলাদেশের আমদানীকৃত রসুন, স্বর্ণের বার ও বাংলাদেশী মুদ্রা। বিনিময়ে বাংলাদেশে আসছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, ইয়াবা, ফেন্সীড্রিল, নি¤œ মানের চা-পাতা, কসমেট্রিক, সুপারী, হরলিক্স, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, নাছির বিড়ি ও ভারতীয় গরু। দিন-কিংবা রাতে সমান তালে এসব পণ্য সামগ্রী আদান-প্রদান হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন।

Manual7 Ad Code

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং জিরো পয়েন্ট, সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি, সেনাটিলা, উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রী, তামাবিল, নলজুরী এবং জৈন্তাপুর উপজেলার খাঁসিনদী, আলু বাগান, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর, মিনাটিলা, ছাগল খাউরী নদী, কাঠাঁলবাড়ী, কেন্দ্রী হাওর, কেন্দ্রীবিল, ডিবিরহাওর, ডিবিরহাওর (আসামপাড়া), ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, গুয়াবাড়ী, বাইরাখেল, হর্নি, কালিঞ্জী, ময়না, জালিয়াখলা, লালাখাল, লালাখাল গ্রান্ড, জঙ্গীবিল, বাঘছড়া, তুমইর, বালিদাঁড়া, ইয়াংরাজা, সিঙ্গারীরপাড় দিয়ে বানের পানির মত বংলাদেশ থেকে ভারতে পাঁচার হচ্ছে খাদ্যশষ্য মটরশুটি, মশুরী ডাইল, চানা ডাইল বাংলাদেশের আমদানীকৃত রসুন, স্বর্ণের বার ও বাংলাদেশী মুদ্রা। বিনিময়ে বাংলাদেশে আসছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, ইয়াবা, ফেন্সীড্রিল, নিম্নমানের চা-পাতা, কসমেট্রিক, সুপারী, হরলিক্স, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, নাছির বিড়ি ও ভারতীয় গরু। সন্ধ্যা হতে না হতেই জৈন্তাপুর বাজার হতে বড় বড় ট্রাক যোগে নিয়ে আসা খাদ্যদ্রব্য মটরশুটি, মশুরী ডাইল, চানা ডাইল, বাংলাদেশের আমদানী কৃত রসুন ছোট ছোট পিকআপ, ডিআই ট্রাক, ব্যাটারী চালিত টমটম যোগে সীমান্তের উল্লেখিত পয়েন্টে সমুহে নিয়ে যাওয়া হয়।

সম্প্রতি উপজেলার সচেতন মহল মনে করছে সীমান্ত প্রশানের নিরবতার কারনে চোরাকারবারীরা উৎফুল্ল আনন্দে প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে বাংলাদেশী পণ্য সামগ্রী ভারতে পাচার করছে। জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্ধা প্রবীন শিক্ষক ক্রাইম সিলেটকে বলেন, আগে শুনেছি গভীর রাত হলে কিছু সংখ্যাক ব্যক্তি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চেরাইপথে পন্য সামগ্রী আদান প্রদান করত। তারা খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বংলাদেশে নিয়ে আসত। তারমধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এসব মালামাল আটক করে বিভিন্ন চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত। কখনও নির্ধিদায় ভারত হতে মদ মাদক সামগ্রী বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারতনা। যদি কখন ও এসব মদকদ্রব্য বাংলাদেশে নিয়ে আসত তাহলে অন্যান্য চেরাকারবারিরা প্রতিহত করত। বর্তমানে বাংলাদেশি পণ্যের বিনিময়ে ভারত হতে মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে চোরাকারবারীরা যাহা যুব সমাজের মারাত্বক ক্ষতির সম্মুাখিন। তিনি বলেন, সন্ধ্যা হলে রাস্তায়বের হতে ভয় করে, চেরাকারবারীদের ত্রিশুলের কারন হয়ে পড়েন। সমাজে অপরাধ মুক্ত করতে হলে এখনি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তা না হলে অচিরেই মাদ্রকর প্রভাব উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

Manual5 Ad Code

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন টমটম চালক এবং ডি.আই ট্রাকচালক ক্রাইম সিলেটকে বলেন, পেটের দায়ে আমরা চেরাইপন্য সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়ে আসি, অনেক সময় কাটুন কাটুন ভারতীয় পণ্য সিগারেট, বিড়ি, চা-পাতা, সুপারী, কসমেট্রিকের চালান নিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসি। এসব পণ্য সামগ্রী আদান-প্রদানে করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। কারন হিসাবে তারা বলেন, সীমান্ত প্রশাসনের লাইনম্যানের সাথে পণ্যের মালিকগণ চুক্তির (লাইন ম্যানেজ) মাধ্যমে এসব পণ্য আদান প্রদান করেন। মাঝে মধ্যে কেউ লাইন ম্যানোজ না করলে সেই মাল আটকা পড়ে বলে শুনেছি আমরা কখনও আটকা পড়িনি। মাদক সামগ্রীর বিষয় জানতে চাইলে তারা বলে কাটুনের মধ্যে কি থাকে আমরা কখন দেখি নাই, কারন সময় খুব কম থাকে, দ্রæত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দিতে হয়। তবে বেশির ভাগ সময়ে গরুর চালান প্রবেশ করে বলে তারা জানান।

Manual4 Ad Code

এবিষেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা অধিনস্থ দুটি ব্যাটালিয়ন বিভিন্ন ক্যাম্প ও কোম্পনাী কামান্ডারদের সাথে আলাপকালে তারা ক্রাইম সিলেটকে জানান, আমাদের নিয়ািমত অভিযান অব্যহৃত আছে। আমরাও বিভিন্ন ভাবে মালামাল আটক করছি। লাইনম্যান সর্ম্পকে জানতে চাইলে তারা বলেন বিজিবির কোন লাইনম্যান বা সোর্স নাই, আমাদের নামে কেউ আর্থিক লেনদেন করলে কখনও অভিযোগ আসনি। চোরাচালনা বন্ধে বিজিবি নিরলশ কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন আমরা সীমান্ত নিরাপদ রাখবে।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..