জিপিএ-৫ পেয়ে গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে হতদরিদ্র তিন মেধাবী

প্রকাশিত: ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯

জিপিএ-৫ পেয়ে গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে হতদরিদ্র তিন মেধাবী

Manual3 Ad Code

একই গ্রাম থেকে তিন হতদরিদ্র শিক্ষার্থী গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসীদের। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরশহরের ফয়লা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের তিন মেধাবী শিক্ষার্থী হলো- মদিনা কারিগর, সুবীর দাস ও লিখি আক্তার মিম। এদের মধ্যে মদিনা ও মিম শহরের সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবং সুবীর দাস সরকারি নলডাঙা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

Manual7 Ad Code

এদের অভিভাবকরা বলছেন, খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের স্কুলে পড়িয়েছি। কলেজে পড়ালেখার খরচ অনেক বেশি কীভাবে এখন লেখাপড়ার খরচ যোগাব ভেবে কুল পাচ্ছি না।

সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গৌতম বিশ্বাস বলেন, এরা সবাই মেধাবী ও অভাবী পরিবারের সন্তান। মদিনা ও মিম ক্লাসে শতভাগ উপস্থিত থাকত। তাদের প্রচেষ্টা ছিল সর্বত্র। আমরা তাদের সবসময় পড়ালেখার সহায়তা করেছি। তারা আজ আমাদের গর্ব।

Manual6 Ad Code

তিনি আরও বলেন, মদিনা কারিগরের বাবা ইসমাইল কারিগর কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় থেকে কুলির কাজ করে সংসার চালান। আর মিমের বাবার বসতভিটার অল্প একটু জমিই একমাত্র ভরসা। তিনি পরের ক্ষেতে কামলা দিয়ে সংসার চালান। ওই গ্রামেরই অপর মেধাবী শিক্ষার্থী সুবীর দাসের বাবা তপন দাস পেশায় একজন ভ্যানচালক। শ্রাবন্তী দাস নামের তার আরেক মেয়ে যশোর এমএম কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স করছে। বসতভিটার দুই শতক জমিই তাদের একমাত্র সম্বল। মা পুষ্পরানী দাস নিজে বাড়িতে সেলাই মেশিনে কাজ করে দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালান।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরশহরের ফয়লা ওয়ার্ডের কমিশনার আশরাফুল ইসলাম মিঠু বলেন, দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে মদিনা কারিগর, সুবীর দাস ও লিখি আক্তার মিম যে সাফল্য অর্জন করেছে তারা যদি সমাজের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পায় তা হলে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। তাদের সাফল্যে গ্রামবাসী গর্ববোধ করছেন।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..