এসআই ওবায়দুল্লা’র নিয়ন্ত্রণে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি!

প্রকাশিত: ২:০৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫

এসআই ওবায়দুল্লা’র নিয়ন্ত্রণে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি!

Manual8 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় চলছে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন। ফলে দৈনিক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। একের পর এক চাঁদাবাজ চক্রের মধ্যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এ ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের জাফলং বিট অফিসার এসআই ওবায়দুল্লা’র নিয়ন্ত্রণে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি! বর্তমানেও এসআই ওবায়দুল্লা ও চোরাচালানের লাইনম্যান শিমুর নেতৃত্বে চলছে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলংয়ের জুমপার, ইসিএভুক্ত এলাকায় চলছে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। জাফলংয়ের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যবেষ্টিত জাফলং জুমপার, স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘বরুনের জুং’ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাম রক্ষা বাঁধের দুই পাশে বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার (বালু তোলার পাইপ মেশিন) দিয়ে দিনে রাতে অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। এর মধ্যে জাফলং জুমপাড় বরুনের জুং, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলং ডাউকী নদীর ইসিএভুক্ত এলাকাসহ আশেপাশে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার দিয়ে বালু পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জাফলংয়ের পরিবেশ।
এসকল এলাকায় প্রায় ৩০টিরও বেশি গর্ত রয়েছে।

এ সকল গর্তে বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন, এক্সেভেটর ও ফেলুডার ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি বোমা মেশিন থেকে দৈনিক ১৫ হাজার, গর্ত থেকে ১০ হাজার, এক্সেভেটর থেকে ১৫ হাজার, শ্যালো মেশিন থেকে ২ হাজার ফেলুডার থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করেন থানার এসআই ওবায়দুল্লা ও লাইনম্যান শিমু।

Manual8 Ad Code

স্থানীয়রা জানান, এসব কার্যক্রমের পেছনে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল, যারা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে জাফলংয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। একটি চক্র গত আগস্টের পর থেকেই ইসিএভুক্ত এলাকা জাফলং,বাংলা বাজার, বালির হাওর, পিয়াইন ও ডাউকী নদীর উৎসমুখ হয়ে জাফলং সেতু পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। এতে মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করা হলেও অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর সেই আগের রূপ ফিরে পায় জাফলং নদী।

Manual6 Ad Code

স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রশাসনের এমন দায়সারা অভিযান স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলে যাচ্ছে বালু ও পাথর নিয়ে। নদী আর বাঁধের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা। এই ট্রাক থেকে আরেকটি চক্র চাঁদাবাজি করে। সবমিলিয়ে চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্য জাফলং।

পরিবেশবাদীদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া জাফলংয়ের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব নয়।

Manual7 Ad Code

এসআই ওবায়দুল্লা’র সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দিনে-রাতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- ইতিমধ্যে আমরা ও পরিবেশ অধিদপ্তর মিলে ১১টা মামলা দিয়েছি। তবে পাথর উত্তোলন আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। গর্ত থেকে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

Manual4 Ad Code

তবে বর্ণিত বিষয়ে বক্তব্য দিতে নারাজ গোয়াইনঘাট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2025
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..