সিলেট ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কেনাকাটা, দরপত্র মূল্যায়নে বিলম্ব, ধীরগতিসহ নানা সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে প্রজেষ্ট অফিস। শিডিউল অনুযায়ী এক বছরের পিডিবির প্রকল্পের কাজ ৭ বছরের ও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান।এই ঠিকাদারি প্রতিষ্টানে বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক চাদাবাজি,৭ বছরের ৪টি উপজেলা থেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম,দুনীতি, চাদাবাজি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৪ কোটি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের ঘটনায় বিপিডিবির পরিচালনা বোর্ড বিব্রতকর ও জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিপিডিবির চলমান প্রকল্প, দরপত্র মূল্যায়ন, প্রকল্পের কেনাকাটায় গতি আনতে কর্মকর্তা, উৎপাদন, বিতরণ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়ে জোরালো তাগিদ দেয়া হয়েছে। সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বিভিন্ন প্রকল্প, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় মালপত্র কেনা এবং আসন্ন বিভিন্ন দরপত্র মূল্যায়নে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির (টিইসি) মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুতে দেরি হচ্ছে। এ কারণে বিপিডিবির বিভিন্ন প্রকল্পসংক্রান্ত কাজ ও কেনাকাটায় দেরি হচ্ছে। এতে বিপিবিডির পরিচালনা বোর্ডকে বিব্রতকর পরিস্থিতি ও জটিল অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথ পুর, ছাতক,দোয়ারাবাজার, দক্ষিন সুনামগঞ্জ (শান্তিগঞ্জ) ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আংশিক এলাকায় প্রায় দুই হাজার খুটি (খাম্বা) ২০১৮ সালে মেসার্স এস এ এন্টার প্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্টান কাজ শুরু করে। এক বছরের মেয়াদে পুরাতন জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কারের কাজটি দীর্ঘ ৭ বছরের ও শেষ করতে পারছেন না।২০১৮ সালে ২০২৫ সালে ৪টি উপজেলার সংস্কার ও মেরামত কাজ করার নামে ৪০হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজী শহিদ তালুকদার ও তার লোকজনের মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদুৎ গ্রাহকরা ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে বিদুৎ মন্ত্রনালয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও উপদেষ্টার বরাবরে এসব অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাজী শহিদ তালুকদারের আপন ছোট ভাই কামাল তালুবদার,ঠিকাদারে আপন শ্যালক মাসুম,ইঞ্জিনিয়ার ফাহাদ ও তার আপন ভাগিনা হারুনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের ক্যাডার সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের আশীপুষ্ট সেলিম সিদ্দিকী, যুবলীগের নেতা চাদ মিয়া ও আশরাফের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে গ্রাহক ও ঠিকাদারের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি মারামারি মালামাল চুরি,চোরাই পথে ছাতকে সরকারি বিদুৎতে ৬০ ড্রাম আর এস ক্যাবল অপস ও সরকারি তামার তার সিলেট থেকে কুমিল্লার জাহাঙ্গীর নামে ব্যক্তি কাছে বিত্রিু করেন ঠিকাদার হাজী শহিদ ও ইঞ্জিনিয়ার ফাহাদ, কামাল,মাসুম ও হারুনের নেতৃত্বে। সরকারি প্রকল্পের মুল্যবান অপস ক্যাবল ৬০ ড্রাম ও তামার তারের দাম প্রায় ৮লাখ টাকা করে বিত্রিæ করে। সিলেটের দুনীতিবাজ নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হককে ম্যানেজ করে প্রায় ৪কোটি ৮০লাখ টাকার মালামাল চোরাই পথে বিত্রিæ করেন ঠিকাদার হাজী শহিদ তালকুদার। আওয়ামীলীগের দালাল,ঘুষখোর ও চাদাবাজ ঠিকাদারের বাড়ি হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার পুর্ব আদালত পাড়া গ্রামের বেলাল হোসেন তালুকদারের পুত্র হাজী শহিদ তালুকদার। জানা যায়,এস এ এন্টার প্রাইজের সাবেক সাব ঠিকাদার চাদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউপির নজিরকুট গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র আনোয়ার। ৪টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুরাতন জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কারের কাজ করে আসছে। ৪টি উপজেলা থেকে দুইশতাধিক গ্রামের আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,জনপ্রতিনিধিদের দালাল চত্রæ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুনীতিবাজ ছাতক ও সিলেটের পিডিবি উন্নয়ন প্রকল্প প্রজেষ্ট অফিসের এক বছরের মেয়াদে পুরাতন জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কারের কাজ দীর্ঘ ৭ বছরের ও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান হাজী শহিদ। সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্প প্রজেষ্ট অফিসে কর্মকতা কর্মচারিদের বিরুদ্ধে টাকা ছাড়া ও পুরাতন বিদুৎ লাইন নতুন করে সংস্কার করার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৭বছরে ঠিকাদার প্রতিষ্টান বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা আদায় করে নেয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এখনো ও অনেক গ্রাম থেকে সিন্ডিকেট মাধ্যমে হাজী শহিদ তালুকদারের লোকজন নতুন কাজ ও পুরাতন খুটি রদবদল নামে চাদা আদায় করছেন। সরকাবি বিদুৎ মালামাল কাজ না করে সিলেটেব প্রজেষ্ট অফিসের দুনীতিবাজ নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক ও মেসার্স এস এ এন্টার প্রাইজ ঠিকাদার হাজী শহিদ তালুকদার। এসব টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের এ ঘটনায় ছাতক শান্তিগঞ্জসহ সিলেট বিভাগজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এসব প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আমূল সংস্কারে হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া সরকার। এসব প্রকল্পে বিনামূল্যে পুরোনো জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কারের নতুন খুঁটি, সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার স্থাপনের কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের এসব উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার ও পিডিবির কিছু অসাধু কর্মকর্তারা যোগসাজেশ করে মেতে উঠেছেন কোটি কোটি টাকার ঘুষ-বাণিজ্যে। নতুন লাইন, খুঁটি, ট্রান্সফরমার বসিয়ে দেয়া ও এমনকি পুরাতন লাইন সংস্কারের নাম করে ঠিকাদার হাজী শহিদ ও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে ৪কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ছাতক, দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ আংশিক এলাকায় জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কার না করে বড় উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থের বিনিয়মে উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত প্রকল্প অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি (খাম্বা) স্থাপন, ঘুষ নিয়ে পুরোনো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কারের নামে প্রকল্প অফিসে নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক নাম ভাঙ্গিয়ে সিলেটের যুবলীগের নেতা চাদ মিয়া সেলিম সিদ্দিকি,কামাল,মাসুম ফাহাদ ও হারুনসহ ঠিকাদার হাজী শহিদসহ গ্রাহকদের সঙ্গে নতুন বিদুৎ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এসব প্রতারনা চালিয়ে কয়েকটি গ্রামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৪কোটি হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে গ্রাহকরা একধিক অভিযোগ করেন। গ্রামগুলো হচ্ছে,বন্দের বাড়ি,মৌলা,শারপিন টিলা,নোয়ারাই ফেরিঘাট, কুরিয়াবইশামারা, বড়গল্লা, রাজারগাও, নোয়াপাড়া, গিরিশনগর, মানিকপুর, বুগলা, জাউয়াবাজার, কৈতক, চেচান, রাজনপুর, পরেশপুর, বাউর, আকিজাল, খিদাকাপন, গন্ধভপুর, গনিপুর, খারারাই, বোকার ভাঙ্গা, মুলতানপুর, পিঠাখই, দেওকাপন, চুরখাইসহ প্রায় দুশতাধিক গ্রাম থেকে প্রকল্প অফিসে একটি সিন্ডিকেট চত্রেæর মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন, নিম্নমানের তার ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার, পুরোনো ব্যবহৃত ব্রেকার ও ট্রান্সফরমার স্থাপন করে প্রকল্পের টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এসব গ্রাম গুলোতে প্রকল্পে বিনামূল্যে পুরোনো জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কারের নতুন খুঁটি, সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার স্থাপনের কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের এসব উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার ও পিডিবির কিছু অসাধু কর্মকর্তারা যোগসাজেশ করে মেতে উঠেছেন ঘুষ-বাণিজ্যে। নতুন লাইন, খুঁটি, ট্রান্সফরমার বসিয়ে দেয়া ও এমনকি পুরাতন লাইন সংস্কারের নাম করে ঠিকাদার ও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকার ঘুষ। অনেক এলাকায় জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংস্কার না করে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক বড় প্রতিষ্ঠানে আলাদা ট্রান্সফরমারসহ নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এসব গ্রামে প্রকল্পের বরাদ্দ কত টাকা, কর্মপরিধি, ড্রয়িং এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নিয়ে পিডিবি ও প্রকল্প অফিসে সংশ্লিষ্টরা লুকোচুরি শুরু করেছে। ফলে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) অর্থায়নে ‘সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ড্রিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট’ নামে পাঁচ বছর মেয়াদী বিশেষ এই প্রকল্প ঠিকাদারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে পিডিবি। এ প্রকল্প অফিসের অধীনে ২য় দফার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছাতক,দোয়ারাবাজার,শান্তিগঞ্জ বিশ্বনাথ উপজেলার আংশিক এলাকায় কাজ শুরু পিডিবি প্রকল্প অফিস।এ প্রকল্পে পুরাতন বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করে নতুন পাকা খুঁটি, তার ও ট্রান্সফরমার বসানো হচ্ছে। পিডিবির গ্রাহকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ সকল সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের কর্মকতাদের দোহাই দিয়ে ঠিকাদার ও কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক জায়গায় পুরোনো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি পরিবর্তনে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো লাখ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করছেন। তাছাড়াও উৎকোচের বিনিময়ে নতুন জায়গায় খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার তিনহাজার ৬ শতাধিক নতুন খুঁটি স্থাপন করার কথা থাকলেও ৫শদ খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর,মানজিহারা গ্রাম গুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলো অনেক জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ। এখানে নেই কোন খুঁটি, বাশঁ ও গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বিদ্যুতের তার। পুরোনো এবং গাছের সাথে ঝুলানো থাকায় প্রায়ই তার ছিড়ে যাওয়াসহ ঘটে ছোট বড় অনেক প্রানহানি দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে । নতুন সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি না বসানোয় এই এলাকার ৩ শতাধিক গ্রাহক ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছেন। নতুন সঞ্চালন লাইন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এসব এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেন চাদা তুলে টাকা দিতে না পারায় তাদের এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ লাইন ও খুঁটি বসানো হয়নি।
এছাড়া চেচান, রাজনপুর, পরেশপুর, বাউর, আকিজাল, খিদাকাপন, গন্ধভপুর, গনিপুর, খারারাই, বোকার ভাঙ্গা, পিঠাখই, দেওকাপন, চুরখাইসহ পর্যন্ত নতুন বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি ও ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য দালাল প্রতারক বিহাম ঠিকাদার আজিজদর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। ওই এলাকার বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, নতুন বিদ্যুৎ লাইন ও ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য চাঁদা তুলে ২০ লক্ষ টাকা প্রকল্প অফিসে কয়েকজন দালাল প্রতারকদের মাধ্যমে সিলেট প্রকল্পের দায়িত্বে নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক ও ইঞ্জিনিয়ার কাইয়ুম ও ঠিকাদারের লোক কামাল ও মাসুমের মাধ্যমে তাদেরকে টাকা দেয়া হতো।
২০২৩ সালে ২৭ আগষ্ট সাব ঠিকাদার আনোয়ার বাদী হয়ে ঠিকাদার হাজী শহিদ তালুকদারকে প্রধান আসামী করে ইঞ্জিনিয়ার ফাহাদ,ঠিকাদারে শ্যালক মাসুম,তার আপন ভাই কামাল তালুকদার, ভাগিনা হারুনসহ ৫জনের বিরু্েদ্ধ জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করলে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আনোয়ার এর অভিযোগটি পুলিশ ক্যাম্প থেকে গায়েব করেন হাজী শহিদ। তার অভিযোগে বলা আছে আসামীরা লাভের আশায় সরকারি ২৪০ আরএস ক্যাবল ৪ ড্রাম,৫০০মিটার করে অপস তার ৪০ ড্রাম ১৩০০ মিটার করে,ডগ ভিয়ার ১০ ড্রাম,একেল ভিডগ ৬ ড্রাম প্রায় ৬০ ড্রাম মালামাল ছাতক থেকে কুমিল্লা নিয়ে বিত্রিæ করা হয়। এঘটনার জের ধরেই ২০২৩ সালে ২৮ আগষ্ট সেলিম সিদ্দিকির বাড়ি থেকে সরকারি তামার ক্যাবল চুরি হয়। এ চুরি অপরাধে সার ঠিকাদার আনোয়ারকে মারপিট করেছেন হাজী শহিদের নিদের্শে। এ ঘটনার পর ঠিকাদার হাজী শহিদ তার ছোট ভাই কামাল তালুকদার ও আনোয়ার ছাতকে কাজে ছিলেন। এঘটনার ঠিকাদার হাজী শহিদের ক্যাবল তার চুরি ঘটনার রহস্য বের হয়ে আসে জনসম্মুখে। সে সিলেটের প্রজেষ্ট অফিসকে সার-ঠিকাদার লিখিত ভাবে অবগত করলে তারা এসব আমলে নেননি।এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগত অবগত আছেন এ ঘটনায়। পরে আনোয়ার দেশিয় অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। দুনীতিবাজ পিডিবির স্থানীয় কর্মকর্তারা অনিয়মের বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের কথা সরাসরি স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে প্রকল্পের নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক ও ইঞ্জিনিয়ার কাইঘূম,জসিম উদ্দিন কে ভালো করে জিজ্ঞাসা করেন এসব দুনীতি অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসবে। এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আনোয়ার। ছাতক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তন না করে অন্য এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি বসানো হচ্ছে এসব প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ঠিকাদার হাজী শহিদ তালুকদার। এব্যাপারে মহরম আলী সুমন এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এক বছরে সংস্কার কাজ দীর্ঘ ৭বছরের শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার হাজী শহিদ। এ সুবাদে ৪টি উপজেলা থেকে ৪ কোটি টাকা চাদা আদায় করেছে এবং ৬০ ড্রাম তামার তারের দাম ৪ কোটি ৮০লাখ টাকা বেশি মালামাল ট্রাক বুঝাই করে সিলেট থেকে কুমিল্লার নিয়ে গেছে ঠিকাদার হাজী শহিদ। প্রকল্পের পরিচালক (পিডিবি সিলেট) নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক জিয়া তার বিরুদ্ধে কারা অভিযোগ করছেন। তিনি জানেন না। আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিহাম নামে তার প্রকল্প অফিসে নাম ভাঙ্গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিলে তার সঠিক নাম ঠিকানা দিলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd