সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
মোঃ রায়হান হোসেন: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের অভিযান পরিচালোনা করে একটি যাত্রাবাহী লোকাল বাসে পেলেন শটগানের ১০৫ রাউন্ড ভারতীয় বুলেটের বড় চালান। এ সময় বাসে থাকা সকল যাত্রী ও সন্দেহভাজন সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও উদ্ধারকৃত ১০৫ রাউন্ড ভারতীয় বুলেটের চালানের সহিত তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে উদ্ধারকৃত বুলেটের প্রকৃত মালিক-কে খুঁজে না পাওয়ায় শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের জিম্মায় রয়েছে উদ্ধারকৃত ১০৫ রাউন্ড ভারতীয় বুলেট। তবে পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টায় অব্যাহত রয়েছে ১০৫ রাউন্ড ভারতীয় বুলেটের চালান কার?
জাফলং হইতে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি যাত্রীবাহী আফনান এন্টাপ্রাইজ নামীয় লোকাল বাস যাহার রেজি নং- (সিলেট-ব ১১-০১৪১) হইতে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১ ঘটিকার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (রহঃ) থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে শাহপরাণ (রহঃ) মাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই মনিরুজ্জামান সহ পুলিশের একটি আভিযানিক টিম উক্ত থানাধীন তামাবিল মহাসড়কস্থ বটেশ্বর বাজারে অভিযান চালিয়ে বাসের বাহিরের দিকে যাত্রী সাধারণের মালামাল রাখার জায়গাতে প্লাস্টিকের ব্যাগে মুরানো অবস্থায় শটগানের ১০৫ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করেন। বুলেটের মোড়কে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা থাকায় পুলিশ বুলেটগুলো জব্দ করে।
ঘটনাস্থলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ বাসে থাকা সকল যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরবর্তীতে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাসের চালক ও হেলপার সহ সাতজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে শটগানের ১০৫ রাউন্ড বুলেটের চালানের সঙ্গে তাদের যোগসুত্র না থাকায় সমুহের নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার রেখে রাত ১১ টার দিকে সকলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহঃ) থানার (ওসি-তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য রাজন জানান- ১০৫ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হলেও মালিক পাওয়া যায় নি। বুলেটগুলো কে বা কারা সিলেটে নিয়ে এসেছে, আনা হয়েছে কেনও আর নেওয়া হচ্ছিলো কোথায় এসকল বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান। বুলেটের মোড়কে মেড ইন ইন্ডিয়া লেখা রয়েছে। বুলেটের প্রকৃত মালিককে সনাক্ত করতে তদন্তের র্স্বাথে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চালক ও হেলপার সহ সাতজনকে থানায় আনা হয়েছিলো তবে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় রাত ১১ টার দিকে সকলকে তাদের আত্মীয়-স্বজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd